দোকান বসানো নিয়ে গোলমালের জেরে ধুন্ধুমার মহেশতলার রবীন্দ্রনগর এলাকায়। দুষ্কৃতীদের ছোড়া ইটে রক্তাক্ত হন বেশ কয়েকজন পুলিশ (Police) আধিকারিক ও কর্মী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাসথ্লে পৌঁছেছেন DIG দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার, জয়েন্ট সিপি ক্রাইম রূপেশ কুমার, আকাশ মাঘারিয়া-সহ অন্যান্য পুলিশ (Police) আধিকারিকরা। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। রবীন্দ্রনগর থানার সামনে বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
বুধবার সকালে রবীন্দ্রনগর এলাকায় ফলের দোকান বসানো নিয়ে গোলমালের সূত্রপাত। বচসা থেকে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারামারি শুরু হয়। এলাকায় ব্যাপক ভাঙচুর চলে। একাধিক বাড়ির ছাদের উপর থেকে ঢিল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান এডিজি দক্ষিণবঙ্গ, ডিআইজি প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ-সহ পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে উন্মত্ত জনতা। লাগাতার পাথরবৃষ্টি করা হয়।
রবীন্দ্রনগর থানার সামনে পুলিশের বাইকে আগুন ধরিয়ে দিয় দুষ্কৃতীরা। পাথর ছুড়ে ভাঙা হয়েছে পুলিশের গাড়ির কাচ। ইটের আঘাত লাগে মহিলা কনস্টেবলের মাথায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। ইটের আঘাতে রক্তাক্ত হন পুলিশকর্মীরা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র্যা ফ নামানো হয়। পুলিশের তরফ থেকে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময়েই পাথর ছুড়ে পুলিশকে আক্রমণ করা হয় বলে অভিযোগ। প্রথমে পর্যাপ্ত বাহিনী না থাকায় সাময়িক ভাবে পিছু হটতে বাধ্য হয় পুলিশ। পরে অতিরিক্ত ফোর্স আসায় পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে অগ্রসর হয় পুলিশ।
বাংলা কখনওই গুজরাট হবে না, এখানে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ছিলাম আছি থাকব। মহেশতলা প্রসঙ্গে জানান পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “পুলিশ পুলিশের কাজ করবে। বাংলায় হিংসার কোনও জায়গা নেই। সর্বধর্ম সমন্বয় থাকব, আনন্দের সঙ্গে থাকব। যদি কিছু দুষ্কৃতী তা বিঘ্ন করার চেষ্টা করে তাহলে আইন কঠোরভাবে তার প্রতিরোধ করবে। কড়া শাস্তি হবে। পুলিশের উপর আক্রমণ হলে আইনে যে প্রভিশন আছে সেই অনুযায়ী শাস্তি হবে। কাউকে ছাড়া যাবে না। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। বিজেপি কী বলল সেটা দিয়ে কিছু যায় আসে না কারণ এরা নিজেরা সন্ত্রাসবাদী। এরা নিজেরা অশান্তি করে এরা উস্কানি দিয়ে মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করে। আমাদের বাংলা সম্প্রীতির সাথে এগিয়ে যাচ্ছে এবং তা চালিয়ে যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।“
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–