মেঘের দেশে মৃত্যু রহস্যে নয়া তথ্য প্রকাশ্যে। স্বামী রাজাকে খুনের কথা স্বীকার করে বিকল্প পরিকল্পনার কথা জানালো স্ত্রী সোনম (Sonam Raghuwanshi)। গত ২৩ মে থেকে মেঘালয়ে হানিমুনে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় দম্পতি। পরে মেলে রাজা রঘুবংশীর (Raja Raghuwanshi)দেহ। মৃত্যুর তদন্তে নেমে ৯ জুন গ্রেফতার করা হয় সোনমকে। প্রাথমিকভাবে নানা ‘গল্প’ ফাঁদার চেষ্টা করলেও পুলিশি জেরার মুখে অবশেষে প্রেমিকের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে স্বামীকে খুনের কথা স্বীকার করলেন রাজার সহধর্মিণী। শুধু তাই নয় ‘ভাড়াটে খুনি’ দিয়ে মেরে ফেলার পরিকল্পনা ব্যর্থ হলে বিকল্পও পথও ঠিক করে রাখা ছিল অভিযুক্তের!
সোনমকে জেরা করে মেঘালয় পুলিশ (Meghalaya Police)জানতে পারে প্রেমিক রাজ কুশওয়ার সঙ্গে মিলে বরকে মারার পরিকল্পনা করেছিলেন নববধূ। সেই অনুযায়ীই হানিমুনের প্ল্যান ও জায়গা বাছা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, সোনম এবং বাকিরা জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছেন। রাজার সঙ্গে বিয়ের পর গত ১৫ মে বাপের বাড়িতে ফিরে যান সোনম। চার দিনের মধ্যে রাজাকে খুনের পরিকল্পনা করেন। প্রেমিক রাজ এবং তাঁর তিন বন্ধুকে ডেকে নেন সোনম। তার পর একটি ক্যাফেতে বসে রাজাকে খুনের ছক কষা হয়েছিল।এমনকি ‘ভাড়াটে খুনি’রা যদি রাজাকে খুন করতে ব্যর্থ হতেন, তা হলেও তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করতে বিকল্প উপায়ও নাকি ভেবে রেখেছিলেন সোনম। পরিকল্পনা অনুসারে ৪ জনের সাহায্য নিয়ে খুনের পরিকল্পনা হয়। কাজ করতে মোটা টাকাও দেয় সোনম। ক্যাফেতে বসেই ঠিক হয়েছিল রাজাকে খুনের প্রথম পরিকল্পনা যদি কোনও কারণে ভেস্তে যায়, তা হলে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করতে পরবর্তী পদক্ষেপ কী করা হবে। পুলিশ জানিয়েছে যাতে স্বামীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে না হয় তাই বাইরে যাওয়ার প্ল্যানিং করা হয়েছিল। ঠিক করা হয়েছিল যদি প্ল্যান এ কাজ না করে তাহলে নিজস্বী তোলার বাহানায় রাজাকে পাহাড়ের ধারে নিয়ে গিয়ে ঠেলে ফেলে দেওয়া হবে। পুলিশ জানতে পেরেছে স্বামীকে খুনের পর ইন্দোরে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে যান সোনম। কিন্তু তাহলে তিনি উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে গেলেন কী ভাবে? ঘটনার থেকে নজর ঘোরাতেই কি এই পরিকল্পনা করা হয়েছিল? বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে তদন্তকারীরা।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–