বিজেপি বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কর্তব্যরত শিখ পুলিশ আধিকারিককে খালিস্তানি বলে অপমান করেন। এবার কর্তব্যরত শিখ পুলিশ আধিকারিককের পাগড়ি লক্ষ্য করে ‘চটি’-র কাটআউট ছুড়লেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

বৃহস্পতিবার, রবীন্দ্রনগর এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি রয়েছে। কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিকেই পুলিশ সেখানে পৌঁছতে দিচ্ছে না। এদিন মহেশতলায় যাওয়ার চেষ্টা করলে জিঞ্জিরাবাজারে তাঁর গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ। এরপরেই পুলিশের বাধা পেয়ে সেখান থেকে সোজা নাটক করতে কালীঘাটে তুলসী বেদী দিতে যান সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু ঢোকার মুখেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি-সহ দলের অন্য নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে পুলিশ। ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতৃত্বের একটি ভিডিও নেট দুনিয়ায় ভাইরাল। সেখানে দেখা যাচ্ছে গাড়িতে ওঠার সময়, সুকান্ত মজুমদার একটি চটি-র কাট আউট ছুড়ে দেন কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকদের দিকে। আর সেটা গিয়ে লাগে পাগড়ি পরা এক পুলিশ আধিকারিকের মাথায় যা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।

সেই ভিডিও নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে তীব্র ধিক্কার জানায় তৃণমূল। লেখা হয়, “বিজেপির ঘৃণার কোন সীমা নেই, এমনকী যখন এটি একটি গোটা সম্প্রদায়কে উপহাস করার বিষয় আসে তখনও নয়। প্রথমে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একজন পাগড়ি পরা পুলিশ অফিসারকে “খালিস্তানি” বলে আখ্যা দেন। এবার, তাঁদের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার একজন কর্তব্যরত অফিসারের পাগড়িতে চটি ছুড়ে মারেন। এটি প্রতিটি শিখ, প্রতিটি উর্দিধারী অফিসার, মর্যাদা ও শালীনতায় বিশ্বাসী প্রতিটি ভারতীয়ের অপমান। ক্ষমতার নেশায় মত্ত, অহংকারে অন্ধ এবং ঘৃণায় উজ্জীবিত বিজেপি জনপ্রতিনিধি হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। বিজেপি এটাই। তাদের কাছে মানবিকতা, মূল্যবোধের কোনও গুরুত্ব নেই। তাঁরা শুধুমাত্রই সহিংসতায় বিশ্বাসী।“

আরও পড়ুন – প্রাক্তন ভারতীয় কোচের প্রথম একাদশে অভিমন্যু ঈশ্বরণ

_

_

_

_

_

_

_
_
_
_
_
_