Thursday, August 28, 2025

নাট্যকার, সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, মন্ত্রী! ‘এই অবগাহন’-এ বহু ব্রাত্যের উন্মোচন

Date:

Share post:

তিনি একাধারে মন্ত্রী, রাজনীতিক, নাট্যকার, কবি, ঔপন্যাসিক, শিক্ষক— অথচ কোনও এক পরিচয়ের গণ্ডিতে তাঁকে বাঁধা যায় না। সেই বহুমাত্রিক ব্রাত্য বসুকেই কেন্দ্র করে শনিবার প্রকাশ পেল সাহিত্যপত্রিকা ‘এই অবগাহন’-এর বিশেষ সংখ্যা। একশোরও বেশি প্রবন্ধে নির্মিত এই ব্রাত্য বসু-সংখ্যা যেন তাঁর জীবন ও কর্মের এক বিস্তৃত ক্যানভাস— যেখানে রাজনীতি আর সাহিত্য, মঞ্চ আর প্রশাসন এক আশ্চর্য সুরে মিশেছে।

পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত এই বিশেষ প্রকাশ-অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং ব্রাত্য বসু ছাড়াও ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব দেবশঙ্কর হালদার, লেখক প্রচেত গুপ্ত, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ প্রমুখ। প্রকাশিত হল তাঁর ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটও, যেখানে তাঁর রচিত ও নির্দেশিত নাটকের সংরক্ষিত তালিকা থেকে শুরু করে সামাজিক মাধ্যমে তাঁর উপস্থিতির সমস্ত খতিয়ান পাওয়া যাবে।

এই পত্রিকার প্রতিটি লেখায় ধরা পড়েছে ব্রাত্য বসুর সৃষ্টিশীলতার বহুবর্ণ চিত্র। কখনও নাট্যকার, কখনও কবি, কখনও অধ্যাপক, আবার কখনও এক অবিচল প্রশাসক— প্রতিটি স্তরে তাঁর ভূমিকা গভীর, সংবেদনশীল ও প্রশ্নসন্ধানী। এই জটিল ও বৈচিত্র্যময় ব্রাত্যকে ধরতেই যেন ‘এই অবগাহন’-এর এই প্রয়াস।

অনুষ্ঠানে নাটকের রোমাঞ্চ নিয়ে বলতে গিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “সিনেমায় অনেকবার দৃশ্য ধারণ করা যায়। কিন্তু মঞ্চে প্রতিটি মুহূর্তই চূড়ান্ত পরীক্ষা। ব্রাত্য সেই অগ্নিপরীক্ষায় বহুবার উত্তীর্ণ। তিনি ইতিহাসকে উপন্যাসে রূপ দেন, আবার নাটকে তুলে আনেন জীবনের অন্য বাস্তবতাকে।”

তিনি আরও বলেন, “ব্রাত্য বসু শুধুই অভিনেতা নন, তিনি অভিনেতাদের ভেতর থেকেও নতুন কিছু বার করে আনতে জানেন। জমি আন্দোলনের সময় যেভাবে মাটির কাছে নেমে এসেছিলেন, সেটা ইতিহাসের দলিল হয়ে থাকবে।”

প্রচেত গুপ্ত বলেন, “এমন একটি দলিল তৈরি হল, যা আগামী দিনের জন্য গর্বের বস্তু। ব্রাত্যর সাহিত্যচর্চার জন্য তিনি এখনও যে সম্মান পাওয়ার যোগ্য, তা বাকি রয়ে গিয়েছে।”

নিজের প্রতিক্রিয়ায় আবেগাপ্লুত ব্রাত্য বসু বলেন, “আমি সাধারণত এই ধরনের অনুষ্ঠানে আসতে চাই না। তবে আজকের এই আয়োজন অন্যরকম। ৫০ বছর পর আমরা ক’জনই বা থাকব! তবু এই লেখাগুলি থাকবে। এই দলিল থাকবে।” তিনি জানান, এই সংখ্যায় যেমন সিনেমার পরিচালক, কবি, সাহিত্যিকদের লেখা রয়েছে, তেমনই রয়েছে তাঁর নানা দিকের মূল্যায়ন। “একশোর বেশি লেখা জোগাড় করে অরীন্দ্রজিৎ যে পরিশ্রম করেছে, তা সত্যিই অনবদ্য,” বলেন তিনি। তাঁর ভাষায়, “আমরা জানি না আগামী দিনের দরজা হঠাৎ করেই খুলে যাবে কিনা। কিন্তু যতদিন এই দরজাগুলি বন্ধ না হচ্ছে, ততদিন লিখে যেতে চাই, বলতে চাই, ভাবতে চাই।”

আরও পড়ুন – বিচার না মেলা পর্যন্ত চা ফুটবে! প্রতিবাদে ‘৪৯৮এ টি ক্যাফে’ খুললেন যুবক 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

spot_img

Related articles

এনএইচএম কর্মীদের বড় উপহার, উৎসবের মুখে বোনাস ঘোষণা রাজ্যের 

উৎসবের দোরগোড়ায় জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের কাজে নিযুক্ত রাজ্যের স্বেচ্ছাসেবক ও চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের জন্য বড় ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।...

হাসিনার প্রত্যাবর্তনে ভয় পাচ্ছে বিএনপি! নির্বাচন ভণ্ডুলের আশঙ্কা খালেদা জিয়ার দলের

বাংলাদেশ(Bangladesh) জুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা অব্যাহত। বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনা করছে। চাপের মুখে পড়ে আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে...

রেস্তোরাঁয় বিল মেটাতে না পেরে বাসন ধুয়েছিলেন! ঘরভাড়া মেটাতে হিমশিম খেতেন আশিস

বলিউড (Bollywood) অভিনেতা আশিস বিদ্যার্থী (Ashish Vidyarthi)। নিজের ক্যারিয়ারের শুরুতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও আর্থিক সমস্যার...

দু’দিনেই তিন হাজার আবেদন! পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে বিপুল সাড়া

রাজ্যে ফিরেছেন কর্মসংস্থানহীন বহু শ্রমিক। তাঁদের আর্থিক সুরাহার লক্ষ্যে নবান্নের উদ্যোগে চালু হয়েছে ‘শ্রমশ্রী’ অ্যাপ। আর যাত্রা শুরুর...