রাস্তায় কাউন্সিলরের সঙ্গে চুলোচুলি। বেনজির ও নিন্দনীয় ঘটনার সাক্ষী ছিল উত্তর চব্বিশ পরগনার পানিহাটি। সপ্তাহের শুরু দিকের তিক্ততা মিটল শেষে। শনিবার, ওই তরুণীকে পাশে বসিয়ে চকোলেট খাইয়ে মধুরেণ সমাপয়েৎ করলেন পানিহাটির ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শ্রাবন্তী রায় (Shrabanti Ray)। ঘটনার দিনই তিনি বলেছিলেন, “ওই মেয়েটি খুব ছোট, ওর ভবিষ্যৎ আছে। তাই ওর কিছু হোক, আমি চাই না!”

মঙ্গলবার, পানিহাটি মহোৎসবতলা ঘাট থেকে বাইক করে চেপে যাচ্ছিলেন কাউন্সিলর শ্রাবন্তী (Shrabanti Ray)। অভিযোগ, একটি স্কুটি সেই সময় সেই বাইকে ধাক্কা মারে। কাউন্সিলর প্রতিবাদ করলে গালিগালাজ দেন স্কুটি চালক তরুণী। পাল্টা তাঁকে চড় মারতেই কাউন্সিলরকে চুলের মুঠি ধরে মারতে থাকেন তরুণী। দুজনের হাতাহাতি, চুলোচুলি থামতে এগিয়ে আসেন স্থানীয়রা। কিন্তু তাঁদের ছাড়াতে পারছিলেন না তাঁরা। পরে ঘটনাস্থলে যায় খড়দহ থানার পুলিশ। কাউন্সিলর অভিযোগ করেন, “স্কুটি চালক ওই তরুণী মত্ত অবস্থায় ছিলেন। আমাকে গালি দিতেই আমি তাকে চড় মারি। এরপর সে আমাকে মারতে থাকে।” তবে তাঁর কথায়, “ওই মেয়েটি খুব ছোট, ওর ভবিষ্যৎ আছে। তাই ওর কিছু হোক, আমি চাই না!”

সূত্রের খবর, রাস্তায় দলীয় কাউন্সিলরের এই মারমুখী চেহারা মোটেও ভালোভাবে নেননি তৃণমূলের (TMC) শীর্ষ নেতৃত্ব। বিষয়টি আলোচনার বসে মিটিয়ে নিতে বলা হয়। অবশেষে শনিবার কাউন্সিলর শ্রাবন্তী ও ওই তরুণীকে তৃণমূলের পার্টি অফিসে ডেকে পাঠানো হয়। সেখানেই তাঁরা কথা বলে সব গোলমাল মিটিয়ে নেন। এরপর একে অপরকে চকোলেট খাইয়ে সম্পর্ক শুধরে নিলেন নিলেন তাঁরা। দুজনেই জানান, যা হয়েছে ঠিক হয়নি। নিজেদের ভুল বুঝে সব মিটিয়ে নিয়েছেন তাঁরা।
আরও খবর: মহেশতলার ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ান: স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের নির্দেশ অভিষেকের

–

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–
–
–