২৪ ঘন্টাও কাটতে পারল না। পারমাণবিক গবেষণাগারে হামলা চালানোর বদলা নেওয়া শুরু করে দিল ইরান (Iran)। শুক্রবার রাতেই ইজরায়েলের (Israel) রাজধানী টেল আভিভে একের পর এক আছড়ে পড়ল ইরানীয় মিসাইল। যদিও পাল্টা ইজরায়েল নাগরিকদের আশ্বস্ত করে জানালো, খুব বেশি দূরে পালাতে হবে না।
পারমাণবিক বোমা তৈরি করছে ইরান, অভিযোগ তুলে ইরানের পরমাণু গবেষণাগারে যে হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েল তা যে মধ্য এশিয়ায় নতুন করে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করছে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছিল ইরান। ঘোষণা করা হয়েছিল – যুদ্ধ অনিবার্য বলেই। শুক্রবার রাত হতেই তা স্পষ্ট করে দিল ইরান। ইরানের সেনাবাহিনীর আধিকারিকদের দাবি বিরোধী শক্তির উপর প্রহার জারি থাকবে। বিরোধী শক্তি সামনে অন্ধকার রাত শুধু দেখতে পাবে।
শত্রুপক্ষের মিসাইল হামলায় ইজরায়েলের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (ADS) আয়রন ডোম এতদিন পৃথিবীতে যথেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছে। তবে ইরানের (Iran) বিরাট ও শক্তিশালী মিসাইলের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারেনি ইজরায়েলের (Israel) এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (ADS)। যার ফলে বসতি এলাকায় ইরানের মিসাইল পড়ায় ৭ জন আহত হয়েছে বলে জানায় টেল আভিভ (Tel Aviv) শহর কর্তৃপক্ষ।
ইসরাইলের পক্ষ থেকে নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও জানানো হয় তাদের এই আত্মগোপন বেশি সময়ের নয়। এমনকি জনবসতি এলাকায় মিসাইল হামলা চালানোর ফল ভুগতে হবে ইরানকে, আরো একবার হুমকি নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu) সরকারের।
অন্যদিকে ইজরায়েল-ইরান সংঘর্ষের প্রথম থেকেই গুরুত্ব পেয়েছে আমেরিকা। ইজরায়েল হামলা চালাতেই ট্রাম্প দাবি করেন পারমাণবিক গবেষণাকারে হামলা চালাতে ইজরায়েলকে তিনি বারণ করেছিলেন। সেই সঙ্গে দাবি করেছেন, ইরানকে অনেকদিন আগেই তিনি থামতে বলেছিলেন। তার ফল এবার ইরানকে ভুগতে হবে। কার্যত স্পষ্ট ছিল আমেরিকা রয়েছে ইজরায়েলের পাশেই। ইরানের হামলা শুরু হতে তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিল আমেরিকা। ইজরেলীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ চালালো মার্কিন সামরিক বাহিনী।
–
–
–
–
–
–
–
–
–