গুজরাটে আহমেদাবাদে ড্রিম লাইনার বিমানের দুর্ঘটনার (Ahmedabad Plane Crash) পর ২৪ ঘণ্টা কেটে গেছে। কখনও পাখির ধাক্কায় বিপর্যয়ের যুক্তি সাজাতে চেয়েছে কর্তৃপক্ষ আবার কখনও যান্ত্রিক ত্রুটির কথা প্রকাশ্যে এসেছে। দুর্ঘটনার পর দেড় দিন অতিক্রান্ত, অথচ কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা কাটলো না। যত সময় যাচ্ছে গাফিলতির তত্ত্ব জোরালো হচ্ছে আর তাতেই চাপ বাড়ছে কেন্দ্রের। অবশেষে উচ্চস্তরীয় তদন্ত কমিটি (high level committee) গঠনের সিদ্ধান্ত নিল বিমান পরিবহণ মন্ত্রক (Ministry of Civil Aviation)।

২৪২ জন যাত্রী নিয়ে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) বিমান উড়ানের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই মুখ থুবড়ে পড়ে। মৃত্যুপুরী মেঘানিনগরে শুধুই লাশের স্তূপ আর স্বজনহারাদের হাহাকার। শনিবার সকালেও বিপর্যস্ত বিমানের বিভিন্ন অংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ঘটনাস্থলে। ধ্বংসস্থল থেকে উদ্ধার হচ্ছে মৃতদেহ। আজও সেখানে NSG এর টিম নমুনা সংগ্রহ করছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, দুর্ঘটনার ঠিক আগের মুহূর্তে পাইলট বারবার বলেছিলেন, “আনেবেল টু লিফট”। ফ্লাইট টেক অফের পরই থ্রাস্টের সমস্যা প্রকট হয়েছিল। ফ্লাইট এআই-১৭১-এর পাইলটের শেষ কথাগুলি এখন তদন্তের কেন্দ্রবিন্দুতে। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে (ATC) ‘মেডে’ বার্তা পাঠিয়ে পাইলট বলেছিলেন, ‘ইঞ্জিনে জোর পাচ্ছি না, পাওয়ার চলে যাচ্ছে, তুলতে পারছি না।’ এই তিনটি বাক্য থেকেই কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত গাফিলতির আভাস মিলেছে। মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করলো যারা, এই বিপর্যয়ে তাই শুধুই তাদের। জবাবদিহির দাবি উঠেছে দেশজুড়ে। চাপ বাড়ছে বুঝতে পেরে শনিবার রাতে এক্স হ্যান্ডেলে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের তরফে দুর্ঘটনার তদন্তের জন্য উচ্চস্তরীয় কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে আহমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার, বায়ুসেনার ডিজি, সিভিল অ্যাভিয়েশনের ডিজি, ফরেনসিক বিভাগের আধিকারিক, আইবির স্পেশ্যাল ডিরেক্টর রয়েছেন। এছাড়াও ডিজিসিএ এবং অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের অধীন এয়ারক্রাফ্ট অ্যাকসিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (AAIB) আলাদাভাবে তদন্ত করছে।

–

–

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–
–
–