আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাটিতে ভেঙে পড়ল এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার। গন্তব্য ছিল লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দর। কিন্তু সেই গন্তব্য আর পৌঁছানো হল না ২৪২ জন যাত্রীর মধ্যে ২৪১ জনের। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা থেকে জীবিত উদ্ধার করা গিয়েছে মাত্র একজনকে। গোটা বিশ্বের নজর এখন এ দুর্ঘটনার দিকে।

এই ঘটনার মধ্যেই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ৪০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রাক্তন পাইলট রস অ্যাইমার। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “ঘটনাটি গভীরভাবে মর্মান্তিক। কিন্তু আমি বলব, বোয়িং ৭৮৭ মডেলটির মধ্যে নানা প্রযুক্তিগত ত্রুটি ছিল বহুদিন ধরেই। এই দুর্ঘটনা অনিবার্য ছিল।”

প্রাক্তন এই পাইলট আরও জানান, উড্ডয়নের সময় বিমানটি সম্পূর্ণ জ্বালানিভর্তি অবস্থায় ছিল এবং ভিডিও ফুটেজ দেখে বোঝা যাচ্ছে, সেদিন আকাশ একেবারেই পরিষ্কার ছিল, আবহাওয়ারও কোনও গোলমাল ছিল না। তাঁর অনুমান, বিমানটি মাঝ আকাশেই ইঞ্জিন ফেল করেছিল। এই অবস্থায় ওজন অত্যধিক থাকার কারণে বিমানটি নামতে গিয়েই বিধ্বস্ত হয়।

রস অ্যাইমার আরও বলেন, “এখনই নির্দিষ্ট করে কিছু বলা উচিত নয়। কারণ তদন্ত এখনও চলছে, সঠিক তথ্য এখনও হাতে আসেনি। কিন্তু যেসব প্রযুক্তিগত ত্রুটির কথা আগে থেকেই বোয়িং ৭৮৭ মডেল নিয়ে উঠেছে, সেগুলি এখনও পুরোপুরি মেটেনি।” সাবধানতার সঙ্গে তিনি জানান, “এই মুহূর্তে একেবারে বলেও দেওয়া যায় না যে বোয়িং ৭৮৭ নিরাপদ নয়। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এই মডেলের নির্মাণগত ত্রুটিগুলি এখনও নির্মূল হয়নি। ফলে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়াটাই স্বাভাবিক।”

এই মন্তব্যের পর বোয়িং ৭৮৭-কে ঘিরে আন্তর্জাতিক স্তরে ফের একবার উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই মডেলকে ঘিরে যাত্রীদের আস্থা কতটা টিকে থাকবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এখন গোটা বিশ্বের নজর কেন্দ্রীভূত হয়েছে দুর্ঘটনার তদন্তের দিকেই। কর্তৃপক্ষ কী সিদ্ধান্ত নেয়, এবং এর জেরে বোয়িং সংস্থার উপর কতটা প্রভাব পড়ে— সে উত্তর দেবে ভবিষ্যৎ।

আরও পড়ুন – আমেদাবাদ দুর্ঘটনা: মৃত ছাড়ালো ২৭০, তালিকায় ৪ চিকিৎসক, সনাক্ত ৪৭

_

_

_

_

_
_
_
_
_