মাত্র এক মাস এক সপ্তাহ ধরে কেদারে হেলিকপ্টারে তীর্থযাত্রীদের সফর শুরু হয়েছে। তারই মধ্যে তিন বার দুর্ঘটনা কেদারনাথের হেলিকপ্টার-যাত্রায়। প্রতিটি ঘটনাতেই প্রাণহানি কোনওক্রমে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। তবে রবিবারের ঘটনায় একসঙ্গে মৃত ৭, যার মধ্যে রয়েছেন বদ্রিনাথ কেদারনাথ মন্দির কমিটির এক কর্মীও। খেলনার মতো চপার দুর্ঘটনার পরেও নীরব দর্শক ডিজিসিএ (DGCA)। রবিবারের ঘটনার জেরে দুদিন বন্ধ রাখা হচ্ছে কেদারনাথে (Kedarnath Dham) চপার যাত্রা। যদিও আমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনায় ব্যস্ত ডিজিসিএ কতটা গুরুত্ব দেবে তা সময়ই প্রকাশ করবে।

এবছর ২ মে থেকে কেদারনাথ যাত্রা শুরু হয়। ৯ মে থেকে শুরু হয় তীর্থযাত্রীদের নিয়ে কপ্টার যাত্রা। তার পরে দেড় মাসেরও কম সময়ে তিনটি বিমান দুর্ঘটনা। চপার পরিষেবা চালু হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে ১৭ মে প্রথম দুর্ঘটনা। অসুস্থ তীর্থযাত্রীকে এয়ার লিফট (air lift) করতে রওনা হওয়া চপার কেদারের হেলিপ্যাডে নামার আগেই দুর্ঘটনায়। দু টুকরো হয়ে যায় চপারটি। নিরাপদে নামিয়ে আনা হয় এক চিকিৎসক, এক নার্স ও চপার চালককে।

দ্বিতীয় দুর্ঘটনা মাত্র সাতদিন আগে। রুদ্রপ্রয়াগের বারাসুর কাছে যান্ত্রিক গোলযোগ বুঝতে পেরে পাহাড়ের উপর জাতীয় সড়কেই (National Highway) চপার নামান চালক। চালকসহ ৬ যাত্রীকে নামিয়ে আনা হয় চপার থেকে। তবে চপারের তলায় পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় একটি গাড়িও।

রবিবারের দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল সাত জনের। তার মধ্যে রয়েছেন চপারের চালক ৩৯ বছরের রাজবীর চৌহান। রাজস্থানের জয়পুরের বাসিন্দা রাজবীর ভারতীয় বায়ুসেনার অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট গভর্নর। ১৫ বছর ভারতীয় সেনায় কাজ করার পরে ২০২৪ সালে কেদারনাথ চপার পরিষেবার পাইলট হিসাবে যোগ দেন। মৃতদের তালিকায় রয়েছেন বদ্রিনাথ কেদারনাথ টেম্পল কমিটির (BKTC) কর্মী বিক্রম রাওয়াত। তিনি উত্তরাখণ্ডের উখিমঠের বাসিন্দা।

অন্যান্য যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন মহারাষ্ট্রের যাভাতমলের বাসিন্দা রাজকুমার জয়সওয়াল। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী শ্রদ্ধা জয়সওয়াল ও ২৩ মাসের কন্যা কাশি জয়সওয়াল। এছাড়াও ছিলেন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা বিনোদ দেবী ও তৃষ্টি সিং। মৃতদের দেহের খোঁজে গুপ্তকাশি এলাকার দুর্গম এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছে এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ। পাহাড়ি খাদ ও জঙ্গলে ঘেরা এলাকা হওয়ায় উদ্ধারকাজ সমস্যাজনক বলে দাবি স্থানীয় প্রশাসনের।

–

–

–

–
–
–
–
–
–

