বিধানসভায় ফের শালীনতার সীমা অতিক্রম করলেন বিজেপি বিধায়করা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে সোমবারের অধিবেশনে শুরুতেই উত্তেজনার পারদ চড়ে যায়। চিলচিৎকার, কুৎসিত মন্তব্য, হট্টগোলে অধিবেশনের পরিবেশ পুরোপুরি নষ্ট করে দেন বিজেপি সদস্যরা।

অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার শান্ত থাকার অনুরোধ জানালেও কর্ণপাত করেননি তারা। বাধ্য হয়েই মার্শালের সাহায্যে বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওরাওকে অধিবেশন কক্ষ থেকে বের করে দেন অধ্যক্ষ। পাশাপাশি তাঁকে একদিনের জন্য বিধানসভা থেকে সাসপেন্ডও করা হয়। আর এক বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষকে সতর্ক করেন অধ্যক্ষ। তিনি স্পষ্ট বলেন, “এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে, বিধায়কদের কাছ থেকে যে আচরণ প্রত্যাশিত, তা তাঁরা দেখাতে পারছেন না। এতে বিধানসভার মর্যাদা লঙ্ঘিত হচ্ছে।”

অধ্যক্ষ জানান, বহুবার অভিযোগ এসেছে যে বিরোধী বিধায়করা অধিবেশনে উদ্দেশ্যমূলক বিশৃঙ্খলা তৈরি করেন। তবুও তিনি বারবার তাঁদের বলার সুযোগ দিয়েছেন, কারণ বিধানসভা বিরোধীদের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ। কিন্তু সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার না করে শুধু গোলমালেই ব্যস্ত থাকেন তারা। তিনি আরও বলেন, “বিরোধীরা গঠনমূলক সমালোচনা করবে, তথ্যভিত্তিক বিতর্কে অংশ নেবে, ভালো বক্তব্য পেশ করবে—এটাই তো সংসদীয় রীতির ভিত্তি। কিন্তু এসবের চিহ্নও দেখা যায় না।”

রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, আসন্ন পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপি ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তেজনার বাতাবরণ তৈরি করছে। তবে এই ধরনের আচরণ রাজ্যের গণতান্ত্রিক পরিসরকে যে কলঙ্কিত করছে, তা বলছেন অনেক বিধায়কই। এদিনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ শাসক দল। তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, “বিজেপির কাজই হলো বিভ্রান্তি তৈরি করা। কাজের কথা নেই, কেবল নাটক চলছে।” বিধানসভার মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে একের পর এক এই ধরনের ঘটনা নিঃসন্দেহে ভাবিয়ে তুলছে রাজ্যের গণতান্ত্রিক শাসনপ্রণালিকে।


আরও পড়ুন – ওবিসি তালিকা কমিশনের সুপারিশেই! বিভ্রান্তি নয়, বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর


_
_

_
_
_

_

_

_

_

_