দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে ভারতের পরবর্তী জনগণনার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল কেন্দ্র। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত এক গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা করা হয়েছে। এই জনগণনা হবে বহু দিক থেকে ঐতিহাসিক, কারণ ১৯৩১ সালের পর এই প্রথমবার জাতিগত তথ্যও সংগ্রহ করা হবে।

গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামী জনগণনার রেফারেন্স তারিখ নির্ধারিত হয়েছে ১ মার্চ, ২০২৭। তবে তুষারাবৃত ও দুর্গম কিছু অঞ্চলের ক্ষেত্রে যেমন— লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড— সেখানে রেফারেন্স তারিখ হবে ২০২৬ সালের ১ অক্টোবর, রাত ১২টা। দেশের রেজিস্ট্রার জেনারেল ও সেনসাস কমিশনার মৃত্যুঞ্জয় কুমার নারায়ণ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জনগণনা আইন, ১৯৪৮ অনুসারে পূর্বে জারি করা ২০১৯ সালের বিজ্ঞপ্তিটি বাতিল করে এই নতুন ঘোষণা করা হয়েছে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০১১ সালের পর ২০২১ সালে পরবর্তী জনগণনা হওয়ার কথা থাকলেও তা কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে একাধিকবার স্থগিত হয়। অবশেষে ১৬ বছর পর হতে চলেছে দেশব্যাপী এই মহাযজ্ঞ। সূত্রের খবর, রবিবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে জনগণনার প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র সচিব গোবিন্দ মোহন-সহ একাধিক শীর্ষ আমলা।

এই জনগণনা হবে দুই ধাপে। প্রথম ধাপ: হাউস লিস্টিং অপারেশন— এই ধাপে প্রতিটি বাড়ির গঠন, আবাসন সুবিধা, জল, বিদ্যুৎ, শৌচালয়, ইন্টারনেট ইত্যাদি পরিষেবার তথ্য সংগ্রহ করা হবে।


দ্বিতীয় ধাপ: জনসংখ্যা গণনা বা পপুলেশন এনুমারেশন— এই ধাপে প্রতিটি পরিবারের সদস্যদের বয়স, লিঙ্গ, শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা, ধর্ম, ভাষা, সামাজিক শ্রেণি এবং জাতিগত তথ্য সংগ্রহ করা হবে।


সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এই তথ্য সংগ্রহে আধুনিক প্রযুক্তি ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা হবে যাতে সঠিক ও দ্রুত ফলাফল পাওয়া যায়। জনগণনা শুধু সংখ্যাতাত্ত্বিক চিত্রই তুলে ধরে না, দেশের নীতিনির্ধারণ, বাজেট বরাদ্দ, সামাজিক উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব নির্ধারণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। ফলে এই নতুন জনগণনা এবং জাতিগত তথ্য সংগ্রহ দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন – সভাপতির সঙ্গে মালাবদল সচিবের, সুপারজায়ান্টের সঙ্গে বৈঠকের ইঙ্গিত সৃঞ্জয়ের

_
_
_

_

_

_

_

_