দারিদ্রের সঙ্গে লড়ে সাত মেয়েকেই স্বনির্ভর করলেন বিহারের এক ছোট ব্যবসায়ী। শুধু যোগ্য নয়, কন্যাদের উর্দিধারীকে করেছেন কমল সিং(Kamal Sing)। ৭ মেয়ে ও ১ ছেলেকে একা উপার্জন করেই মানুষ করেন তিনি।

কুস্তিগীর মহাবীর সিং ফোগাটের (Mahavir Singh Phogat) মতোই মেয়েদের যোগ্য করতে সারাদিন কেটে যেত তাঁর। ভোর ৪টেয় উঠে শারীরিক প্রশিক্ষণের জন্য তুলতেন মেয়েদের এবং রাত ১১টা পর্যন্ত লেখাপড়া করাতেন। এখন সব মেয়েরাই সমাজ রক্ষায় বিভিন্ন স্তরে কর্মরত।

কমল সিং(Kamal Sing) বহু কষ্টে এক আটার মিল খোলেন। দুধ বিক্রি করার জন্য গরুও কেনেন তিনি। এইটুকু সম্বল দিয়েই সংসার সামলে মেয়েদের তিনি উর্দিধারী বানিয়েছেন। সমাজের গঞ্জনা তাঁকে মেয়েদের স্বপ্ন দেখা থেকে টলাতে পারেনি। এখন তাঁর কন্যারা বিহার পুলিশ, সিআরপিএফ, সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি), সরকারি রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) এবং আবগারি পুলিশে কর্মরত। ছেলে রাজীব সিং বি টেক শেষ করে দিল্লিতে একটি সংস্থায় কর্মরত।

এক সাক্ষাৎকারে কমল সিং জানান, “মানুষ আমাকে নিয়ে মজা করত, বলত আমার মেয়েরা বিয়ে করে যৌতুক নিয়ে চলে যাবে। কিন্তু মেয়েদের উপর আমার সম্পূর্ণ আস্থা ছিল। আমি জানতাম, ওরা একদিন বড় হবে। নিজেদের নাম উজ্জ্বল করবে।”

বাবার আজীবনের কঠোর শ্রমের মান রেখেছেন মেয়েরা। কুঁড়েঘর ছেড়ে মেয়েরা তৈরি করেছেন চারতলা বাড়ি। কমল এখনও তাঁর আটার মিল চালালেও মেয়েরা বাবার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সংসারের দায়িত্ব নিয়েছেন সেভেন সিস্টারস। কমল সিং প্রমাণ করেছেন সমাজের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হলে নিজেরদেরই সাহস করে এগিয়ে আসতে হবে।

–

–

–
–

–

–
–
–
–