ধর্ষণ এবং ধর্ষণ খুনের মতো গুরুতর অপরাধে দ্রুত বিচার, রায় ঘোষণা ও চরম শাস্তির মধ্যে দিয়ে বিচার দিতে বাংলার সরকারই অপরাজিতা আইন আনতে চেয়েছে। সেই পদক্ষেপ যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা স্পষ্ট হল শিশুকে ধর্ষণ খুনের ঘটনায় ফাঁসির (death penalty) সাজাপ্রাপ্তর অপরাধীর সাজা কমে যাওয়ায়। দীর্ঘ সময় ধরে চলা মামলায় নিম্ন আদালতের ফাঁসির সাজা বদলে যাবজ্জীবনের সাজা ঘোষণা হল কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court)।
খিদিরপুরে ২০১৩ সালে এক আড়াই বছরে নাবালিকার ধর্ষণ খুনের ঘটনা ঘটে। যে অভিযোগের তদন্তের পরে ২০১৯ সালে সেশন কোর্ট অপরাধী সুরেশ পাসোয়ানের ফাঁসির সাজা দিয়েছিল। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে অপরাধী সুরেশ কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়। সেই মামলার রায় দিতে গিয়েই ফাঁসির সাজা (death penalty) রদ করে বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চ। ঘোষণা করা হয় যাবজ্জীবন সাজার।
নিম্ন আদালতে এই বিচার চলাকালীন নির্যাতিতা নাবালিকার পক্ষের আইনজীবী আড়াই বছরের নাবালিকার ধর্ষণ খুনের ঘটনাকে বিরলের মধ্যে বিরলতম বলে দাবি করেছিলেন। আইনজীবীর দাবিকে সমর্থন জানিয়ে বিচারক ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেছিলেন। সেই মামলাতেই এই ঘটনাকে বিরলের মধ্যে বিরলতম বলতে অস্বীকার করল কলকাতা হাই কোর্ট। যেহেতু অপরাধী নিজের অপরাধ স্বীকার করে, তাই এই ঘটনাকে বিরলতম বলতে অস্বীকার আদালতের।
কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে জানায়, কোনওভাবেই এটা প্রমাণিত নয় যে এই খুনের ঘটনা পরিকল্পিত বা পুরোনো কোনও শত্রুতার জেরে করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উল্লেখ করে বলা হয়, অনেক ক্ষেত্রেই খুনের ঘটনায় ফাঁসির সাজা দেওয়া হয় না। যেহেতু এই ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম নয়, তাই ফাঁসির সাজা রদ করে হাই কোর্ট। তবে অভিযুক্ত সুরেশ পাসোয়ানকে ন্যূনতম ৫০ বছরের জেলের সাজা দেওয়া হয়।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–