পহেলগাম হামলার পরবর্তীতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্য়ে আকাশ পথে যে ড্রোন হামলার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তা নিয়ে অন্তত ১২ বার মার্কিন রাষ্ট্রপতি দাবি করেছেন তিনিই সেই ‘যুদ্ধ’ থামিয়েছেন। বাণিজ্যের টোপ দিয়ে দুই দেশকে তিনিই একমাত্র শান্ত করেছিলেন। তা নিয়ে আজ পর্যন্ত কোনও প্রতিবাদ করতে পারেনি নরেন্দ্র মোদির প্রশাসন। সরাসরি আমেরিকা বা ট্রাম্পকে কোনও বার্তা দিতে ব্যর্থ নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সেই মোদিই ফোন করে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Donald Trump) জানালেন এই দ্বন্দ্ব থামাতে কোনও ভূমিকাই নেয়নি আমেরিকা। আর ট্রাম্পও সেই সব কথা চুপ করে শুনলেন। এমনটাই মোদি-ট্রাম্পের ফোনে কথার পরে জানানো হল বিদেশ মন্ত্রকের তরফে। যার পরে স্বাভাবিকভাবেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন দেশের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

ভারত-পাক সম্পর্কের (Indo-Pak relation) মাঝে বারবার হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করেছে আমেরিকা। তা সত্ত্বেও দুই প্রতিবেশী দেশ নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে ড্রোন হামলার পরিস্থিতি সামলেছিল। অথচ সেই সমঝোতার ঘোষণা করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক বার নয়, ক্রমাগত ১২ বার সেই ঘোষণা করে দাবি করলেন বাণিজ্য দিয়ে সেই যুদ্ধ থামিয়েছেন তিনি। সেই সব বার্তার মাস খানেক পরে অবশেষে সরাসরি কথা ট্রাম্প ও মোদির। সেখানে পহেলগাম হামলা নিয়ে প্রশ্ন করেন ট্রাম্প, এমনটাই দাবি বিদেশ মন্ত্রকের।

ট্রাম্পের প্রশ্নের উত্তরে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের বর্ণনা দেন মোদি। সেই সঙ্গে ভারতের তরফ থেকে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তার বর্ণনাও দেন মোদি। তার পাল্টা সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দেন ট্রাম্প।

তবে এরপরই ভারত পাক দ্বন্দ্ব থামাতে ভারতই ভূমিকা নিয়েছে, এমন দাবি ট্রাম্পের সামনে তুলে ধরেন মোদি। সেই সঙ্গে দাবি করেন, ভারত পাক সম্পর্কের (Indo-Pak relation) মধ্যে কোনও তৃতীয় শক্তির মধ্যস্থতা কখনও মেনে নেওয়া হবে না। এটা সম্পূর্ণ ভারতের ঐত্যমত্যের ভিত্তি নির্ধারিত হয়, এমনটাও তুলে ধরেন। আর গোটা বক্তব্য ডোনাল্ড ট্রাম্প মুখ বুজে শোনেন। অর্থাৎ তিনি নিজে যে যুদ্ধ থামানো দাবি গোটা বিশ্বের কাছে করেছিলেন, সেই যুদ্ধ থামানো নিয়ে তৃতীয় শক্তির মধ্যস্থতা মেনে না নেওয়ার বার্তা মোদি দিলেও তা তিনি চুপ করেই শোনেন, এমনটাই দাবি ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের।


–


–
–

–
–
–

–

–

–

–
