অক্সফোর্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় গোলমাল পাকানোর অপচেষ্টা করা চিকিৎসক ডাঃ রজতশুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বেআইনি কাজে যুক্ত! পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলকে না জানিয়ে ব্রিটেনে প্র্যাকটিস করছেন তিনি। এই বিষয়ে জনৈক দেবাশিস সাহার স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে জবাব তলব করেছে WBMC। এই নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, নিয়ম মেনে চিঠি যেতেই পারে। তবে, রজতশুভ্রকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে কুণাল বলেন, ক্ষমতা থাকলে দিনক্ষণ জানিয়ে কলকাতা বিমানবন্দরে এসে নেমে দেখান।
অক্সফোর্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় গোলমাল পাকানোর অপচেষ্টা করেছিল রাম-বাম-অতিবাম কয়েকজন প্রবাসী। স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে সভা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয় তাঁরা। সেই গোলমাল করানোর হোতা ছিলেন ডাঃ রজতশুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন দেখা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর দিক আঙুল তোলা চিকিৎসক নিজেই বেনিয়মে অভিযুক্ত। জনৈক দেবাশিস সাহার স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর জবাব তলব করেছে WBMC। দেবাশিসের অভিযোগ, নিজেকে অ্যানাস্থেশিয়ায় এমডি বলে দাবি করে ইংল্যান্ডে প্র্যাকটিস করেন রজতশুভ্র। অথচ এই ডিগ্রি তিনি ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিলে নথিভুক্ত করাননি। কাউন্সিলের অ্যাক্ট-এর ২৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী কোনও চিকিৎসক দেশের বাইরে প্র্যাকটিস করলে তা অবশ্যই জানাতে হবে সর্বভারতীয় মেডিক্যাল কাউন্সিলকে।
অভিযোগ, লন্ডনেও না কি ভুল চিকিৎসার অভিযোগ রয়েছে রজতশুভ্রর বিরুদ্ধে। সে জন্য তাঁকে কাঠগড়ায় তুলেছে রোগীর পরিবারও। মেডিক্যাল কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, তিনি চুটিয়ে রোগী দেখছেন ইংল্যান্ডে।
চিঠিতে লেখা হয়েছে, “আমরা দেবাশিস সাহার (অনুলিপি সংযুক্ত) কাছ থেকে আপনার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছি, যা স্বতঃপ্রণোদিত। আপনাকে পশ্চিমবঙ্গ মেডিকেল কাউন্সিল কর্তৃক মেডিক্যাল প্র্যাকটিশনারদের রেজিস্টারে আপনার অতিরিক্ত যোগ্যতা নিবন্ধন না করার কারণ লিখিতভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে আপনি এই কাউন্টিলকে কোনও অবহিত না করেই ইউরোপে অনুশীলন করছেন। আপনার উভয় কার্যকলাপই জাতীয় মেডিক্যাল কাউন্সিল আইন ১৯৫৬-এর ধারা ২৬ এবং ২৮-এর পরিপন্থী। এই চিঠি পাওয়ার তারিখ থেকে ১০ দিনের মধ্যে আপনার উত্তর দিতে হবে।“
এই বিষয় নিয়ে মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট সুদীপ্ত রায় বলেন, ‘‘আমরা নির্দিষ্টভাবে অভিযোগ পেয়েছি। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কুণাল ঘোষ বলেন, কেউ যদি আইন ভাঙেন তাহলে তার জবাব দিতে হবে। তবে, অক্সফোর্ডে গোলমাল পাকাতে যাওয়া অপচেষ্টা জবাব আগেই পেয়েছেন এই অতিবাম-রামেরা। এর পরেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে কুণাল বলেন, ‘‘লন্ডনে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় চরম অসভ্যতাকারী ওই ডাক্তার সাজানো প্রশ্ন করে বাংলাকে অপমান করতে চেয়েছিলেন। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী বাংলার উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির কথা বলছিলেন। ওঁকে আমরা রাজ্যবাসীর তরফে বলছি, সাহস থাকলে, দম থাকলে, দিন, তারিখ, সময় জানিয়ে বিমানবন্দরে পা রাখুন। ওঁর অসভ্যতার সঠিক জবাব উনি পাবেন।’’
আরও পড়ুন – “এটি হওয়া উচিত ছিল না”! শান্তিনিকেতনে অবনীন্দ্রনাথের ‘আবাস’ ভাঙার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া মন্ত্রী ইন্দ্রনীলের
_
_
_
_
_
_
_
–