সময় যত গড়াচ্ছে ততই ইজরায়েল – ইরান (Israel vs Iran) সংঘর্ষ মারাত্মক আকার নিচ্ছে। গত ১৯ জুন তেল আভিভে ইরানের ‘ক্লাস্টার বোমা’ (Claster Bomb) হামলার পর এবার শুক্রবার সকালে ইজরায়েলের মাইক্রোসফট অফিসের (Microsoft office, Israel) কাছে হামলা চালিয়েছে তেহরান, খবর অসমর্থিত সূত্রের। শোনা যাচ্ছে এই আক্রমণে ইজরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বিয়েরশেবায় অবস্থিত মাইক্রোসফটের অফিস ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ঘটনায় বড় কোনও প্রাণহানি না ঘটলেও ৭ জন আহত হয়েছেন। এদিন সকালে কাতারভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আল-জাজিরা খবরটি প্রকাশ করে।
ইরান বনাম ইজরায়েলের উত্তেজনার পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন নেতানিয়াহু। অন্যদিকে আবার পাঁচটি বোয়িং ৭৪৭ বিমান চিন (China ) থেকে উড়ে গেছে ইরানের দিকে। তাহলে কি আমেরিকা ইজরায়েলের পাশে থাকায়, সংঘাতে তেহরানকে সাহায্য করছে বেজিং? ইতিমধ্যেই এ প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে আন্তর্জাতিক মহলে। সংঘর্ষের ৮ দিনে পরিস্থিতির স্বাভাবিক হওয়ার বদলে ক্রমশই জটিল হচ্ছে। ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স জানিয়েছে শুক্রবার তাদের দেশের নানা জায়গায় ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। সপ্তাহব্যাপী লড়াইয়ে প্রথম ক্লাস্টার বোমা ব্যবহারের খবরও মিলেছে। এর জেরে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০০৮ সালে ‘কনভেনশন অফ ক্লাস্টার মিউনিশনশ’ আন্তর্জাতিক চুক্তিতে এই বোমা ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। যদিও ইরান, ইজরায়েলের মতো দেশ ওই চুক্তির অংশ নয়। পাশাপাশি আবার ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকা অস্ত্র ধরবে কিনা সেই বিষয়ে দু সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এখনও ইরান, ইজরায়েল, আমেরিকার এক টেবিলে বসে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু যদি এভাবেই পরিস্থিতি বদলাতে থাকে তাহলে খুব দ্রুতই গোটা বিশ্বের জন্য সেটা বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–