সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ জাতীয় মেডিক্যাল কমিশনের (NMC)। নিয়ম মেনে ছুটি না নিয়ে ৭৫ শতাংশের কম হাজিরা হলে চিকিৎসকদের বেতন কাটা হবে। নির্দেশ দিল NMC।

সরকারি হাসপাতালে (Government Hospital) নির্দিষ্ট সময় ডিউটি না করে চিকিৎসকরা প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন, বেসরকারি হাসপাতালে সময় দেন- এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বাংলাতেও এই অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন নিয়ম করেও সেই অনিয়মে খুব বেশি রাশ টানা যায়নি। এর প্রেক্ষিতে এবার কড়া পদক্ষেপ করল NMC। বৃহস্পতিবার, রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা-সহ সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে ঠক করেন জাতীয় মেডিক্যাল কমিশনের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। চিকিৎসকদের অনুপস্থিতি নিয়ে বৈঠকে অসন্তোষ প্রকাশ করে NMC।
আরও খবর: গ্রুপ সি- গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাতা ঘোষণায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

এই বৈঠকের পরই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ। সেখানে বলা হয়েছে, কোনও আবেদন ছাড়া না জানিয়ে ছুটি নিলে, উপস্থিতি ৭৫ শতাংশের কম হলে চিকিৎসকের বেতন কাটা যাবে। কলেজের অধ্যক্ষ অমিত দাঁ বলেন, “জাতীয় মেডিক্যাল কমিশনের অধীনে আমরা সবাই। আমাদের বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স ওরা অনলাইনে দেখতে পায়। ভিডিয়ো কনফারেন্সে এনএমসি জানিয়েছে, আপনাদের যদি ১৫০-১৮০ জন চিকিৎসক থাকেন, তার মধ্যে যদি ৭০ জন আসেন, তাহলে কে অপারেশন করবেন আর কে রোগী দেখবেন? সেই কারণে চিকিৎসকদের ৭৫ শতাংশ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বলেছেন। ওরা আর সশরীরে হাসপাতালের পরিকাঠামো দেখতে আসবেন না। আমরা যদি নতুন কোনও বিভাগ চালু করি, এমবিবিএসে আসন বাড়াই, সেই সুবিধা দেওয়ার আগে চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বলেছেন।” একই সঙ্গে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অভিযোগ করেন, “এমন চিকিৎসকও রয়েছেন যাঁরা হাসপাতালে সময় দেন না, এমনকী হাসপাতালে এসেও বেরিয়ে যান।” তাঁর কথায়, চিকিৎসকরা প্রয়োজনে অবশ্যই ছুটি নেবেন। কিন্তু সেটা জানিয়ে নিতে হবে এবং তার জন্য আবেদন করতে হবে। কারণ, পড়ুয়াদের ক্লাস নেওয়া আর রোগী দেখা- দুটো সামলাতে হিমশিম খেতে হয় চিকিৎসকদের।

–

–

–

–

–
–

–

–
–
–
–
–