নারী নিরাপত্তায় বাংলার স্থান গোটা দেশে যে সবার আগে তা আগেই প্রমাণিত। বাংলায় যেভাবে অপরাজিতা আইন (Aparajita act) লাগু করে ধর্ষণের মতো অপরাধে লাগাম টানার প্রক্রিয়া চলেছে, তা পাশ না করে লাগাম টানার চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। তবে শুধুমাত্র অপরাজিতা আইন নয়, একাধিক আইন ও পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে নারীর নিরাপত্তা ও ক্ষমতায়নে বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার। তাই এবার আর্থিক প্রকল্পের পাশাপাশি রাজ্য সরকার আনছে বিবাহিত মহিলাদের নিরাপত্তার নতুন আধিকারিক।
নারী ও শিশুদের সুরক্ষায় প্রশাসনিক কাঠামো জোরদার করছে রাজ্য সরকার। শুক্রবার বিধানসভায় নারী ও শিশু বিকাশ এবং সমাজকল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী শশী পাঁজা (Shashi Panj) জানান, গার্হস্থ্য হিংসা রুখতে রাজ্যের ২৩টি জেলায় ইতিমধ্যেই ২৮ জন প্রোটেকশন অফিসার (protection officer) নিয়োগ করা হয়েছে। বড় জেলাগুলিতে একাধিক অফিসার নিযুক্ত রয়েছেন। পাশাপাশি বিপদগ্রস্ত মহিলাদের জন্য চালু হয়েছে ৩৭টি শক্তি সদন, যা এনজিওর মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।
মন্ত্রী জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে নারী ক্ষমতায়নে গত এক দশকে একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডার, বিধবা ও বার্ধক্য ভাতা, মানবিক ভাতার মতো প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে উপকৃত হচ্ছেন কোটি কোটি মহিলা। বর্তমানে লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhander) প্রকল্পে ২.১৫ কোটি মহিলা সহায়তা পাচ্ছেন বলে তিনি জানান। এ ছাড়াও ৯৩ লক্ষের বেশি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।মন্ত্রী বলেন, “এই সমস্ত প্রকল্প শুধু ভাতা দেওয়ার জন্য নয়, নারীর সামাজিক মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।”
শশী পাঁজা আরও জানান, ২০২৩-২৪ সালে রাজ্যে মহিলা ও পুরুষ ভোটারের সংখ্যার পার্থক্য ছিল ১৩ লক্ষ। ২০২৪-২৫ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১১ লক্ষে। সরকারের দাবি, এতে স্পষ্ট মহিলাদের আর্থসামাজিক ক্ষমতায়ন ও সচেতনতা বেড়েছে।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–