আসন্ন রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের ভিড় সামলাতে এবং হোটেল ভাড়ায় কালোবাজারি ঠেকাতে এবার কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। সোমবার দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের (DSDA) অফিসে হোটেল মালিকদের নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তালিকাভুক্ত ভাড়ার বাইরে বাড়তি ভাড়া আদায় করলে দিতে হবে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা।

মঙ্গলবার থেকেই দিঘার প্রতিটি হোটেলে টাঙানো হবে নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা। তালিকার নিচেই থাকবে একটি সরকারি ওয়েবসাইটের লিংক ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর, যেখানে পর্যটকরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে শুধু জরিমানাই নয়, প্রয়োজনে হোটেলের অনুমোদনও বাতিল হতে পারে বলে জানিয়েছেন জেলা শাসক পূর্ণেন্দু মাজী। বৈঠকে হাজির ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক সৌভিক চট্টোপাধ্যায়, প্রশাসক নীলাঞ্জন মণ্ডল, নেহা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। হোটেল মালিক সংগঠনগুলিও বেশ কিছু দাবি জানিয়েছে প্রশাসনের কাছে। তারা জানিয়েছে, জগন্নাথ মন্দিরের কারণে জাতীয় সড়কে যানজট বেড়েছে, সেই রাস্তায় অবিলম্বে সম্প্রসারণ ও আলো বসানোর দাবি জানানো হয়েছে।

ডিএসডিএ আগামী ১০ দিনের মধ্যে দিঘার সব হোটেলের তালিকা সংগ্রহ করবে। হোমস্টে বা সংগঠনের বাইরে থাকা হোটেলগুলির ওপরও নজরদারি চালানো হবে। পাশাপাশি যেসব হোটেল ট্যুরিস্ট অ্যামিউজমেন্ট ট্যাক্স ফাঁকি দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধেও নেওয়া হবে কঠোর পদক্ষেপ।

দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুশান্ত পাত্র বলেন, “এই উদ্যোগে স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু পর্যটন পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। হোটেলগুলিকেও বলা হয়েছে বর্জ্য গাড়িতে তুলে ফেলার জন্য নির্দিষ্ট ব্যবস্থা নিতে।” বৈঠকের পর জেলা শাসক পূর্ণেন্দু মাজী জগন্নাথ মন্দির সংলগ্ন রথযাত্রার প্রস্তুতিপর্ব খতিয়ে দেখেন। প্রশাসনের কড়া নজরদারিতে এবার দিঘায় রথযাত্রা নির্বিঘ্ন ও পর্যটক-বান্ধব হবে বলেই আশাবাদী স্থানীয় মহল।


আরও পড়ুন – কথা দিয়ে কথা রাখেনি DVC! বিধানসভায় ক্ষোভ উগরে দিলেন সেচমন্ত্রী মানস


_
_

_
_
_

_

_

_

_

_