প্রত্যাঘাত। ইরানের পরমাণু ঘাঁটিতে মার্কিন হামলার পাল্টা কাতারে আমেরিকার (America) আল-উদেইদ বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান (Iran)। সোমবার রাতে কাতারের রাজধানী দোহায় পরপর বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। একইসঙ্গে দোহার আকাশে দেখা যায় আলোর ঝলকানি। অভিযোগ, কাতারের (Qatar) মার্কিন ঘাঁটি লক্ষ্য করে ৬ টি ক্ষেপনাস্ত্র ছুড়েছে ইরান।

শনিবার রাতে ইরানের (Iran) পারমাণবিক কেন্দ্রগুলিতে বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমান দিয়ে অপারেশন মিডনাইট হ্যামারের পর আমেরিকার বিরুদ্ধে প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ইরান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিশানা করে ইরানের সামরিকবাহিনী হুমকি দেয়, “এই যুদ্ধের শুরুটা আপনি করে থাকতে পারেন, কিন্তু শেষটা আমরাই করব।” তবে ইরান থেকে আমেরিকার দূরত্বের ফলে তাদের পক্ষে সেখানে গিয়ে হামলা চালানো এই মুহূর্তে সমস্যার। সেই কারণেই কাতারে মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে হামলা বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মহল। কাতারে এ অঞ্চলের বৃহত্তম মার্কিন সামরিক ঘাঁটি অবস্থিত। হুঁশিয়ারির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান। দোহায় একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ ও আলোর ঝলকানি এই হামলার প্রমাণ দিচ্ছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। এই হামলার ঘণ্টাখানেক আগেই কাতার তাদের আকাশ সীমা বন্ধ করে দেয়।

এই হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে তার নিন্দা করেছে কাতার। সে দেশের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারির মতে, এটি কাতারের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত। এমনকী, ইরানের সশস্ত্র বাহিনী রাষ্ট্রপুঞ্জের বিধিনিষেধও লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ। তবে ইরানের নিরাপত্তা বিষয়ক দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, কাতার বা তার নাগরিকেরা কখনই তাদের লক্ষ্য নয়। আল-উদেইদ বিমানঘাঁটি লোকালয় থেকে অনেক দূরেই। ‘ভ্রাতৃপ্রতিম’ কাতারকে আঘাত করতে চায় না বলে জানিয়েছে ইরান। কাতারের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই হামলায় তাদের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

–


–


–
–

–
–
–

–

–

–
