রাজ্যজুড়ে ধুমধাম করে পালিত হচ্ছে রথযাত্রা (Rathayatra Celebration)। গত দুদিন ধরে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে প্রথমবার আয়োজিত দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উৎসব (Digha Jagannath Temple Rathayatra)। জয় জগন্নাথের মন্ত্রে সমুদ্র পাড়ে তুমুল উন্মাদনা। তবে পিছিয়ে নেই হুগলি জেলার শ্রীরামপুরের মাহেশও (Mahesh, Srirampore)। এদিন সকাল থেকে অঝোর ধারায় বৃষ্টি ভিজে কয়েক হাজার মানুষের সমাগম ৬২৯ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরে (Mahesh Jagannath Temple)। সকালে পুজোর পর প্রভুকে আরাধ্য দেবতাকে চাতালে এনে রাখা হয় যাতে ভক্তরা তাঁর দর্শন করতে পারেন। বেলা গড়াতেই খিচুড়ি, পোলাও, আলুর দম, পায়েস সহযোগে ভক্তদের ভোগ বিতরণ শুরু হয়েছে। দুপুর দুটোর পর রথে অধিষ্ঠান করানো হবে বলভদ্র, সুভদ্রা এবং জগন্নাথকে। এরপর সেখানেই রাজবেশে সজ্জিত হবেন জগন্নাথ। এখানকার রথ লোহার তৈরি।মার্টিন বার্ন কোম্পানির তৈরি এই রথের বয়স প্রায় ১৩৮ বছর। আগে ছিল কাঠের রথ। বর্তমানে এই রথের দেখভাল করে কলকাতা শ্যামবাজারের বসু পরিবার। রথযাত্রায় সেজে উঠেছে মাহেশ। আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা শ্রীরামপুর শহরে। দুপুরের পর থেকে জি টি রোড দিয়ে বড় গাড়ি যাতায়াত করবে না।
অন্যান্যবারের মতো এবারও কলকাতার ইসকন (ISKON , Kolkata) মন্দিরে জগন্নাথ বন্দনা চলছে। ‘পাহান্ডি বিজয়’উৎসবের’ পর কিছুক্ষণ আগেই মন্দির থেকে বাইরে বের করে আনা হয় জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রাকে। ইসকনের কলকাতার রথে এবার সুখোই বিমানের চাকা। ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে উল্টোরথ পর্যন্ত রথের মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সকাল থেকে ভিড় বাড়ছে মায়াপুরের ইসকন মন্দির (Mayapur ISKON temple) চত্বরে। এখানে ৫৬ নয় বরং ৩০০ পদের ভোগ নিবেদন করা হয় আরাধ্য দেবতাকে। ১০০ রকমের মিষ্টি নৈবেদ্য হিসেবে অর্পণ করা হয়। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই গড়াবে রথের চাকা। এদিন দুপুর বারোটা নাগাদ রানিগঞ্জের রাজপরিবারের ১৮৯ বছরের পিতলের রথের রশিতে টান দিলেন এলাকার মানুষ। চন্দননগরে রথের রশিতেও পড়ল টান।
ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ীর রথযাত্রা দেখতে প্রচুর মানুষ হাজির মহিষাদলে। তবে এবারে গোটা বাংলার নজরে সৈকত নগরী। হরিনাম সংকীর্তনের পর খোল-করতাল বাজিয়ে ভক্তদের উন্মাদনার মাঝে এই মুহূর্তে রথে উপবিষ্ট জগন্নাথ- বলরাম- সুভদ্রা। আড়াইটে নাগাদ দিঘার রথ এগিয়ে যাবে মাসির বাড়ির দিকে।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–