Sunday, November 2, 2025

পর্যটনে বাংলার বিপ্লব! মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পনাতেই বিশ্ব মানচিত্রে উজ্জ্বল পশ্চিমবঙ্গ

Date:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূরদৃষ্টিসম্পন্ন পরিকল্পনা ও ধারাবাহিক উদ্যোগে অভাবনীয় উত্থান ঘটেছে বাংলার পর্যটন ক্ষেত্রে। বৈচিত্র্যে ভরা বাংলার পাহাড়, সমুদ্র, বনাঞ্চল থেকে শুরু করে উৎসব— সবই এখন আন্তর্জাতিক পর্যটকদের অন্যতম গন্তব্য হয়ে উঠেছে। ২০২৩-২৪ সালে বাংলায় বিদেশি পর্যটকের আগমন যেমন রেকর্ড ছুঁয়েছে, তেমনই রাজ্যের অর্থনীতিতে তার ইতিবাচক প্রভাবও পড়েছে স্পষ্টভাবে।

পর্যটন দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ সালে বাংলায় বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২ লক্ষে, যা ভারতের মোট বিদেশি পর্যটকের প্রায় ১৪.৮ শতাংশ। গত অর্থবছর ২০২২-২৩ সালে সেই সংখ্যা ছিল ২৭.১ লক্ষ এবং ২০২১-২২ সালে মাত্র ১০.৪ লক্ষ। এই প্রবণতা স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছে, পর্যটন ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের এগিয়ে যাওয়ার গতি কতটা দ্রুত।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির পিছনে অন্যতম কারণ হল দুর্গাপুজোর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। পুজোর সময়, বিশেষ করে মহালয়া থেকে দীপাবলি পর্যন্ত সময়কালে, বাংলায় ভিড় জমিয়েছিলেন পাঁচ লক্ষেরও বেশি বিদেশি পর্যটক। শুধুমাত্র পুজোর পাঁচ দিনে কলকাতাতেই দেখা গেছে প্রায় ২০ হাজার আন্তর্জাতিক পর্যটক।

শুধু উৎসব পর্যটন নয়, দার্জিলিং, কার্শিয়াং-এর মত পাহাড়ি শহর, পুরুলিয়ার ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্র এবং দিঘার ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে নবনির্মিত জগন্নাথধাম এই বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা নিয়েছে। ইকো-ট্যুরিজমে আগ্রহ এতটাই বেড়েছে যে পুরুলিয়ায় ইতিমধ্যেই ৮৭ শতাংশ বুকিং পূর্ণ।

২০২৩ সালে মোট ১৪.৫ কোটি পর্যটক বাংলায় এসেছিলেন। ২০২২ সালে সেই সংখ্যা ছিল ৮.৪ কোটি। ২০২৪ সালে এই সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ১৮.৫ কোটিতে, জানিয়েছেন পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। দেশীয় পর্যটকদের সঙ্গেও যদি বিদেশিদের সংখ্যা যোগ করা হয়, তাহলে বাংলার পর্যটনে আগমনের পরিসংখ্যান ছুঁয়েছে প্রায় ২০ কোটির গণ্ডি। পর্যটন পরিকাঠামোর উন্নয়ন, নতুন পর্যটন হাব তৈরি, আন্তর্জাতিক গাইড সংখ্যা বৃদ্ধি— সব মিলিয়ে বাংলা এখন দেশের মধ্যে সেরা তিন পর্যটন রাজ্যের তালিকায় উঠে এসেছে। এছাড়া, বাংলায় বর্তমানে রয়েছে দেশের মধ্যে সর্বাধিক ১,০২২ জন স্বীকৃত পর্যটন গাইড। ইউরোপ, রাশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া থেকে এসেছে ২৭ লক্ষের বেশি পর্যটক, যা অতীতের যেকোনও সময়ের থেকে অনেকগুণ বেশি। রাজ্য সরকারের দাবি, এই অভাবনীয় সাফল্যের মূল কৃতিত্ব মুখ্যমন্ত্রীর পরিকাঠামোগত পরিকল্পনা ও সাংস্কৃতিক ব্র্যান্ডিং। পর্যটনে বাংলার এই নবজাগরণ ইতিমধ্যেই জাতীয় স্তর পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশংসিত হতে শুরু করেছে।

আরও পড়ুন – সৌরভকে কোচ হিসাবে দেখতে চান ক্রীড়ামন্ত্রী, জমকালো উদ্বোধন প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বইয়ের

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

Related articles

ভারত কোনও ধর্মশালা নয়, দেশে জন্মালেই ভোটাধিকার! শাহের ন্যক্কারজনক মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ তৃণমূলের 

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাম্প্রতিক মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্ক। তাঁর বক্তব্য— “ভারত কোনও ধর্মশালা নয়, যারা এই দেশে...

ভারত চেম্বার অফ কমার্সের ১২৫ বছর: রাজ্যে আসছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা

ভারত চেম্বার অফ কমার্সের ১২৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সোমবার কলকাতায় আসছেন লোকসভার স্পিকার ওম...

বৃষ্টি – দুর্যোগ কাটতেই দার্জিলিংয়ে ফের শুরু সরস মেলা 

ভারী বৃষ্টিতে ফের বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের পাহাড় ও সমতল। শনিবার রাতের বৃষ্টিতে কালিম্পং জেলায় একাধিক স্থানে ধস নামে। বন্ধ...

শুভেন্দুর স্বাস্থ্য শিবিরে জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যা! নিরপেক্ষতা কোথায়? প্রশ্ন তৃণমূলের

জাতীয় মহিলা কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। অভিযোগ, বিজেপির নির্দেশ মেনে ও রাজনৈতিক স্বার্থে কাজ করছে...
Exit mobile version