Thursday, August 21, 2025

বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর দাবি মেনেই নয়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ নির্বাচন কমিশনের

Date:

Share post:

কিছুদিন আগেই বিহারে ভোটার তালিকার স্পেশাল ইনটেন্সিভ রিভিশনের উদাহরণ দিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রক্রিয়ার নানা নিয়ম কানুন নিয়েও দিঘা থেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তার কয়েক দিনের মধ্যেই বিশেষ বা নিবিড় সমীক্ষা নিয়ে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। সামনেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন আর তার আগে জাল ভোটার রুখতে ভোটার তালিকা সাফাইয়ের কাজে হাত দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। জানা যায় ওই রাজ্যে ২০০৩ সালে ভোট তালিকার বিশেষ সংশোধন হওয়ার সময় ভোটার সংখ্যা ছিল ৪.৯৬ কোটি। তবে বিহারে এই মুহূর্তে ৭,৮৯,৬৯,৮৪৪ জন ভোটার রয়েছেন। এঁদের সকলের বাড়ি গিয়ে একটি এনুমেরেশন ফর্ম (ইএফ) দেওয়া হচ্ছে। যাঁদের নাম পুরনো তালিকায় রয়েছে তাঁদের শুধু ইএফ ফর্মটি পূরণ করে জমা দিলেই হবে। আলাদা নথি দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। কিন্তু যাঁরা নতুন, তাঁদের ‘ডিক্লারেশন ফর্ম’-এর সঙ্গে নাগরিকত্বের প্রমাণস্বরূপ বাড়তি নথি জমা দিতে হবে।

মুখ্যমন্ত্রীর আপত্তির পরেই নড়েচড়ে বসে কমিশন। নির্বাচন কমিশনের তরফে এবার জানানো হয়, যে সকল ভোটার ১৯৮৭ সালের ১ জুলাই জন্মগ্রহণ করেছেন তাঁদের জন্মতারিখ অথবা জন্মস্থানের সপক্ষে তালিকায় উল্লেখিত ১১টি নথির মধ্যে যে কোনও একটি জমা দিতে হবে। ১৯৮৭ সালের ১ জুলাই থেকে ২০০৪ সালের ২ ডিসেম্বরের মধ্যে যাঁদের জন্ম, তাঁদের জন্মতারিখ অথবা জন্মস্থানের প্রমাণ হিসেবে একটি নথি এবং তাঁদের বাবা বা মায়ের জন্মতারিখ অথবা জন্মস্থানের প্রমাণ রয়েছে এমন একটি নথি জমা দিতে হবে। ২ ডিসেম্বর ২০০৪ তারিখের পরে যারা জন্মগ্রহণ করেছেন, তারা নিজের জন্মতারিখ ও জন্মস্থানের প্রমাণ হিসাবে যে কোনও একটি নথি এবং বাবা-মায়ের জন্মতারিখ ও জন্মস্থান প্রমাণের নথি জমা দেবে। যদি কারও বাবা কিংবা মা ভারতীয় না হন, সে ক্ষেত্রে তাঁর পাসপোর্ট ও সন্তান জন্মের সময়কার ভিসার কপি জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক।

সোমবার ফের নতুন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আগের নিয়ম বদল করল কমিশন। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিহারের ২০০৩ সালের ভোটার তালিকা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। সেখানে নথিভুক্ত ৪.৯৬ কোটি ভোটারকে নতুন করে কোনও নথি জমা দিতে হবে না। এই ৪.৯৬ কোটি ভোটারের স্বীকৃতির জন্য বাবা কিংবা মায়ের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনও নথিও জমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কারোর যদি ২০০৩ সালের বিহারের ভোটার তালিকায় নাম না থাকে, সে ক্ষেত্রে তিনি নিজের বাবা কিংবা মায়ের অন্য কোনও নথির পরিবর্তে ২০০৩ সালের ভোটার তালিকাটি ব্যবহার করতে পারবেন। তাহলে এখন মোট ভোটারদের প্রায় ৬০ শতাংশকে কোনও নথি জমা দিতে হবে না। শুধু ২০০৩ সালের ভোটার তালিকা থেকে নিজেদের সব তথ্য যাচাই করে আবেদন বা গণনা ফর্ম জমা দিতে হবে।

spot_img

Related articles

যোগীরাজ্যের পাঠ্যপুস্তকে বাদ কেন রবীন্দ্রনাথকে? সাংসদ ঋতব্রতর প্রশ্নে অস্বস্তিতে কেন্দ্র

উত্তরপ্রদেশের দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কি বাদ দেওয়া হয়েছে? তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নে স্পষ্টতই...

প্রয়াত সিপিএম নেতা-প্রাক্তন মন্ত্রী দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া

প্রয়াত সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া। বুধবার এনআরএস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।...

উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউয়ে ডাক মেলেনি! শীর্ষ আদালতে শান্তা দত্ত 

স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউ পর্বে ডাক পাননি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত। যোগ্য হয়েও তাঁকে সুযোগ দেওয়া...

১৫ দিনেই রেকর্ড সাফল্য! রাজ্যে সাড়া ফেলল ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচি

মাত্র পনেরো দিনেই নজির গড়ল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন কর্মসূচি, ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’। রাজ্যের মানুষের হাতে উন্নয়নের...