Saturday, November 15, 2025

‘কর্পূর’: ছবির স্টার কাস্টের মতোই অভিনব লোগো প্রকাশ

Date:

Share post:

বাংলা ছবির নাম, বিষয় আর স্টার কাস্ট ঘোষণা হতেই তাই নিয়ে প্রবল আলোড়ন টলিউড জুড়ে- এই ঘটনা বোধহয় সাম্প্রতিক অতীতে ঘটেনি, যেটা ঘটলো অরিন্দম শীলের ‘কর্পূর’ ছবি নিয়ে। বাংলার রাজনীতির ইতিহাসে তোলপাড় করা ঘটনা মনীষা মুখোপাধ্যায় অন্তর্ধানকে ভিত্তি করে লেখা সাহিত্যিক দীপান্বিতা রায়ের ‘অন্তর্ধানের নেপথ্যে’ উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে এই ছবি। আর এই ছবিতে সবচেয়ে বড় চমক অভিনেতা তালিকায়। ছবিতে এক রাজনৈতিক দলের রাজ্য সম্পাদক ও সাংসদের চরিত্রে অভিনয় করছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ। রয়েছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, সাহেব চট্টোপাধ্যায়, অনন্যা চট্টোপাধ্যায় এবং স্বয়ং পরিচালক অরিন্দম শীল। মঙ্গলবার শহরের একটি নামজাদা হোটেলে প্রকাশিত হল ছবির লোগো ও অভিনেতা অভিনেত্রীদের প্রথম লুক।

তবে বাংলা ছবিতে লোগো প্রকাশ নিঃসন্দেহে একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা। পোস্টার লঞ্চ বা ফার্স্ট লুক সিনেমার ক্ষেত্রে হামেশাই ঘটে থাকে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে লোগো লঞ্চটা নিঃসন্দেহে কর্পূর ছবি স্টারকাস্টের মতোই অভিনব।

১৯৯৭-এর এক সকালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি কন্ট্রোলার মনীষা মুখোপাধ্যায় বাড়ি থেকে বেরোন কর্মস্থলে যান সেখান থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠেন কিন্তু আর বাড়ি ফেরেননি। এত বছর পেরিয়ে গিয়েছে এখনও মনীষার খোঁজ কেউ জানে না। তাঁর খোঁজে তাঁর মা সবার দরজায় দরজায় ঘুরেছেন। তৎকালীন শাসকদলের নেতাদের বাড়িতে গিয়েছেন। কিন্তু কোনও হদিস মেলেনি মনীষার। সেই সময় রাজনীতিতে তোলপাড় করা এই ঘটনা অবলম্বনে দীপান্বিতার গল্প ‘অন্তর্ধানের নেপথ্যে’। আর সেটাকে ভিত্তি করেই অরিন্দমের ছবি ‘কর্পূর’।

লোগো প্রকাশ অনুষ্ঠানে অরিন্দম জানান, ছমাস লেগেছে শুধু এই ছবির প্রি-প্রোডাকশন এবং পরিকল্পনায়। ছবির নাম নিয়ে যখন নানা আলোচনা হচ্ছে, তখন বন্ধু ব্রাত্য বসু ‘কর্পূর’ নামটি প্রস্তাব করেন। লুফে নেন পরিচালক। যেভাবে আমরা কথায় বলি কর্পূরের মতো উবে যাওয়া, সেভাবেই যেন মনীষা তথা ছবির মৌসুমী উবে গিয়েছেন। তবে অরিন্দম কুণাল-সহ এদিন সব অভিনেতারাই দাবি করেন, এই ছবির সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই। যদি কেউ কোনও চরিত্রের সঙ্গে বাস্তবের মিল পান তাহলে সেটা একেবারেই তাঁর বিষয়, দায় পরিচালকের নয়। ছবির সঙ্গীত পরিচালনা ও আবহ রথীজিৎ ভট্টাচার্য।

অরিন্দম শীল বলেন, “দীপান্বিতা উপন্যাসটি পড়ার পর আমি এটি চিত্রায়ন করতে বাধ্য হয়েছি। আমরা সেই অর্থে একটি রাজনৈতিক থ্রিলার তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” প্রযোজক ফিরদাউসুল হাসান বলেন, “করপুর এমন একটি গল্প যা দৃষ্টিভঙ্গিকে চ্যালেঞ্জ করে। এটি অন্য যেকোনো কিছুর থেকে আলাদা।” অপর প্রযোজক আদীপ্ত মজুমদার বলেন, “থ্রিলাররা আমাকে সবসময়ই উত্তেজিত করে। যখনই কোনও থ্রিলার তৈরির কথা আসে, তখন প্রথমেই যে নামটি মনে আসে তা হল অরিন্দম শীল। তাঁর চলচ্চিত্রের মাধ্যমেই আমাদের প্রজন্ম সত্যিকার অর্থে বাংলা ভাষায় থ্রিলার অভিজ্ঞতা লাভ করতে শুরু করে। তাই, যখন এই চিত্রনাট্য আমাদের কাছে আসে, তখনই আমরা এই সফরে অংশ হতে পেরে রোমাঞ্চিত হয়ে পড়ি। একটি উপন্যাস থেকে অনুপ্রাণিত, এই রাজনৈতিক থ্রিলার দর্শকদের জন্য রহস্য এবং অ্যাডভেঞ্চারের প্রতিশ্রুতি দেয়।”

ছবির লোগোতেও রয়েছে কর্পূরের সেই উদ্বাই, মিলিয়ে যাওয়ার আভাস। এদিন ফার্স্টলুকে পর্দায় একের পর এক চরিত্রের নাম-সহ অভিনেতা-অভিনেত্রীদের দেখা গিয়েছে। এদিনের অনুষ্ঠানের জন্য সাদা ও ঘিয়ে রঙকেই পোশাকের কালার কোড করা হয়।

আরও পড়ুন – বুধে বিধানসভায় শপথ কালীগঞ্জের নবনির্বাচিত বিধায়ক অলিফা আহমেদের 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

spot_img

Related articles

রবীন্দ্র সরোবরের ছয় ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি: সম্পূর্ণ আইনি পথে কর্পোরেশন

প্রায় পাঁচ দশক পর রাবীন্দ্র সরোবর চত্বরে অবস্থিত ছ’টি ক্লাবের সঙ্গে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক ভাড়ার চুক্তি করল কলকাতা...

বিহারে কমিশনের কারচুপি, তোপ অখিলেশের: ঘুরিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ ওমরের

বিহারে এসআইআর প্রয়োগ করে ভোটারদের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কংগ্রেস-আরজেডির (RJD) মহাজোটের এটাই ছিল বিহার নির্বাচনের মূল...

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী কে: ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট JD(U)-এর!

বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ২৪৩ টি আসনের মধ্যে বিজেপি ৮৯ আসনে জয়ী। নীতীশ কুমারের জেডিইউ জিতেছে ৮৫ টি আসন।...

জাদুসম্রাটের বাড়িতে বিয়ের আসর! বিজ্ঞাপন দেখে পাত্র পছন্দ মৌবনীর

জিনা বন্দ্যোপাধ্যায় জনে জনে বার্তা রুটি গেল ক্রমে, বিয়ে করছেন মৌবনী শীতের মরশুমে! মেয়ের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন পিসি সরকার, সেখান থেকেই পাত্র...