আর জি করে চিকিৎসক তরুণী ধর্ষণ খুনের পরে রাজনীতির ময়দান কাঁপাতে এতটুকু জমি ছাড়েনি বিজেপি বা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই সময় চিকিৎসক সমাজের উপর তাদের দরদ যেন উথলে পড়েছিল। শুধুমাত্র রাজ্যকে কালিমালিপ্ত করতে হেন পথ ছাড়েনি বিজেপি নেতারা। তবে এবার প্রকাশ্যে সেই বিজেপির আইনজীবী নেতা, শুভেন্দু অনুগামী কৌস্তভ বাগচীর (Koustav Bagchi) আসল চরিত্র। রোগী মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসকদের উপর হুমকি দিয়ে এমনভাবে চড়াও হলেন যা সাধারণ রাজনীতিক হিসাবে নিন্দনীয় তো বটেই, একজন আইনজীবীর পক্ষেও আশ্চর্যজনক। ঘটনায় কৌস্তভের শাস্তি চেয়ে মুখ্যসচিবের (Chief Secretary) দ্বারস্থ চিকিৎসকদের সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম (WBDF)।

ব্যারাকপুরে এক বিজেপি কর্মীর বাবা অসুস্থ হয়ে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। অবস্থার অবনতি হতে থাকায় রোগীকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করার পরিকল্পনা করেছিল রোগীর পরিবার। তবে তার আগেই হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই রোগীর। খবর পেয়েই হাসপাতালে ঢুকে হম্বিতম্বি শুরু করেন কৌস্তভ বাগচী। দাবি করেন চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যু হয়েছে রোগীর। চিকিৎসকরা তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও তিনি কোনও কথাই কানে তোলননি।

কৌস্তভের হুমকির সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় (ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা বিশ্ববাংলা সংবাদ যাচাই করেনি)। সেখানে দেখা যায়, হাসপাতালের আরএমও-কেও অপমানজনক কথাবার্তা বলছেন কৌস্তভ। সেই সঙ্গে তিনজন চিকিৎসককেও অপমান করেন তিনি। কর্তব্যরত নার্সদের উদ্দেশ্যেও হুমকি দিতে দেখা যায় তাকে। অভিযোগ আইসিইউ-তে ভর্তি এক রোগীকেও আঘাত করেন কৌস্তভ।

আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে অভিজিৎ সরকার হত্যা চার্জশিট: রাজনৈতিক লিফলেট, দাবি তৃণমূলের


এই ঘটনায় পদক্ষেপের দাবি চিকিৎসক সংগঠনের। ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরামের (WBDF) তরফ থেকে মুখ্যসচিব (Chief Secretary) মনোজ পন্থকে ই-মেলে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। যদিও কৌস্তভ এর পরেও গলা তুলে দাবি করেন, তিনি নিজের আচরণের জন্য এতটুকুও অনুতপ্ত নন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে রোগীর আত্মীয়রা চিকিৎসার বিষয়গুলি না বুঝে যেভাবে বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়, এক্ষেত্রে ভাঙচুরের ঘটনা না ঘটলেও বিজেপির প্রথম সারির আইনজীবী নেতা যে আচরণ করেন চিকিৎসকদের সঙ্গে তাতেই বিজেপির নেতাদের চিকিৎসক সমাজের প্রতি মানসিকতা স্পষ্ট করে দেয়।


–
–

–
–
–

–

–

–

–
