চলতি অর্থবর্ষে বাজেট বরাদ্দ অনুযায়ী কতটা অর্থ খরচ করা যাবে, তা নির্দিষ্ট করে নতুন নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য অর্থ দফতর। আগামী ১ জুলাই, ২০২৫ থেকে এই নির্দেশ কার্যকর হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। অর্থ দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব পি কে মিশ্র স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে খরচের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দফতরের জন্য নির্দিষ্ট সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

নতুন নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, বেতন, মজুরি, খাদ্য, ওষুধ, হাসপাতালের সামগ্রী, অক্সিজেন, বিদ্যুৎ, টেলিফোন, অফিস ভাড়া, স্বাস্থ্য পরিষেবা ও ইনসিওর্ড মেডিক্যাল প্র্যাকটিশনারদের ক্যাপিটেশন ফি সংক্রান্ত খাতে বরাদ্দের ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত অর্থ ছাড় দেওয়া যাবে।

এছাড়াও রাজ্যের নিজস্ব উন্নয়ন প্রকল্পে ৩৩ শতাংশ পর্যন্ত অর্থ ছাড়ের অনুমতি মিলবে। “জয় বাংলা” ও “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার”-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক প্রকল্পগুলিতে বরাদ্দের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত অর্থ ছাড়ের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তবে মাসভিত্তিক খরচ ও আর্থিক চাপ বিবেচনায় রেখে নির্দিষ্ট প্রয়োজনে ভিত্তি করেই টাকা তোলা যাবে।

তফশিলি জাতি উন্নয়ন তহবিলের অধীনে থাকা প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রেও ৫০ শতাংশ পর্যন্ত অর্থ ছাড়ের কথা বলা হয়েছে। তবে শর্ত হিসেবে প্রকল্পগুলির প্রশাসনিক অনুমোদন থাকতে হবে, অর্থ ছাড় বাজেট বরাদ্দের সীমার মধ্যেই হতে হবে এবং অনুমোদিত মানদণ্ডের কোনওরকম ব্যতিক্রম করা চলবে না।

এই নির্দেশিকাটি অর্থ দফতরের ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখের ৪৩০-এফবি স্মারক নম্বরের অধীনে জারি হয়েছে। নির্দেশ কার্যকরের সময় যে কোনও প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে এই স্মারকের উল্লেখ থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপে সরকারি প্রকল্পগুলিতে আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি বাজেট খাতে খরচের যথাযথ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে বলেই মনে করছে প্রশাসনিক মহল।

আরও পড়ুন – নির্বাচনের আগে অভিজিৎ সরকার হত্যা চার্জশিট: রাজনৈতিক লিফলেট, দাবি তৃণমূলের

_

_

_

_

_
_
_
_
_