অভিযোগ জমা পড়ার মাত্র দু’ঘণ্টার মধ্যেই নিখোঁজ এক রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করল নিউ ব্যারাকপুর থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ৬ অভিযুক্তকে। ঘটনাটি ঘটেছে নিউ ব্যারাকপুর (New Barrackpore) থানার শহরপুর অঞ্চলে। অপহৃত ব্যবসায়ীর নাম সৌমিত্র রায়। জানা গিয়েছে, ২৯ জুন সৌমিত্র রায়ের বাড়িতে কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি যান। কিছুক্ষণ কথাবার্তার পর তাঁরা সৌমিত্রবাবুকে সঙ্গে করে নিয়ে যান। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনও খবর মেলেনি। পরিবারের অভিযোগ, অপহরণের একদিন পর সৌমিত্রবাবুর স্ত্রীর মোবাইলে একাধিকবার কল আসে যেখানে অভিযুক্তরা ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এমনকি অভিযুক্তরা একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বরও পাঠান। বাধ্য হয়ে সৌমিত্রবাবুর স্ত্রী ৫০ হাজার টাকা পাঠান ওই অ্যাকাউন্টে। কিন্তু মুক্তিপণের পরিমাণ এবং চাপ বাড়তেই শেষমেশ পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি।

গতকাল, মঙ্গলবার সৌমিত্র রায়ের স্ত্রী নিউ ব্যারাকপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে দ্রুত নড়ে চড়ে বসেন পুলিশ আধিকারিকরা। তৈরি হয় একটি বিশেষ তদন্তকারী দল। অপহরণকারীদের ফোন লোকেশন ট্র্যাক করে জানা যায় উত্তর বিধাননগর থানা এলাকার এক গেস্ট হাউসে আছেন তাঁরা। তৎক্ষণাৎ নিউ ব্যারাকপুর (New Barrackpore) থানার একটি টিম অভিযান চালায় ওই এলাকায়। ‘বন্ধন গেস্ট হাউস’-এর একটি ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় সৌমিত্র রায়কে। ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে ৬ অপহরণকারীকে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, অপহৃত ব্যক্তিকে শারীরিক নির্যাতনও করা হয়েছিল। তাঁর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্নও মিলেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আর্থিক টানাপড়েনের জেরেই এই অপহরণের ঘটনা। ব্যবসায়িক লেনদেন ঘিরে পাওনা টাকা আদায়ের উদ্দেশ্যেই সৌমিত্র রায়কে অপহরণ করা হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। আজ, বুধবার তাদের ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে। তবে এর পিছনে অন্য কোনও পরিকল্পনা ছিল কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আরও পড়ুন : টহলরত পুলিশের গাড়িতে ধাক্কা বেপরোয়া ট্রাকের! মৃত এসআই-সহ ২

–

–


–


–
–

–
–
–

–

–

–

–

–