দি অ্যাসোসিয়েশন অফ প্রফেশনাল অ্যাকাডেমিক ইনস্টিটিউশন,পশ্চিমবঙ্গের (APAI-WB) উদ্যোগে কলকাতার বুকে প্রথম বার আয়োজিত হল প্রি-কাউন্সিলিং ও এডুকেশন ফেয়ার। WBJEE ফলাফলের ঠিক আগে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত এই মেলার লক্ষ্য কলকাতা এবং আশেপাশের জেলার শিক্ষার্থীদের ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রযুক্তি, ফার্মেসি, স্থাপত্য এবং ব্যবস্থাপনা শাখায় স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শিক্ষার সুযোগ সম্পর্কে ছাত্র-ছাত্রীদের অবগত করা। উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদের চট্টোপাধ্যায় (Sobhandeb Chattopadhyay), টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের কর্ণধার সত্যম রায়চৌধুরী (General Secretary, APAI-WB & Chancellor, Sister Nivedita University & Techno India University), পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশন বোর্ডের চেয়ারপারসন সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় (Sonali Chakravarti Banerjee), অধ্যাপক ডক্টর দিব্যেন্দু কর, APAI WB-র প্রতিনিধি সহ অন্যান্য বিশিষ্টরা।

এই এডুকেশন ফেয়ার মূলত দশম, দ্বাদশ এবং স্নাতকের পড়ুয়াদের আগামী দিনে ইঞ্জিনিয়ারিং বা ফার্মেসি পড়াশোনার জন্য একটা উল্লেখযোগ্য প্ল্যাটফর্ম। পাশাপাশি স্থাপত্য, হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট, MCA, এমবিএ-র মত বিষয় নিয়েও যাঁরা আগামীতে পড়াশুনা করতে চান তাঁদের দিশা দেখাবে এই শিক্ষামেলা। MAKAUT-এর অধীনস্থ কলেজগুলিতে WBJEEB-এর বরাদ্দকৃত ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফার্মেসি পড়াশোনার জন্য যে ৮৫ শতাংশরও বেশি আসন রাখা হয়েছে তার মধ্যে কোথায় সুযোগ বেশি বা কম সেই সংক্রান্ত তথ্য মিলবে APAI WB-র উদ্যোগে আয়োজিত প্রি-কাউন্সিলিং ও এডুকেশন ফেয়ার থেকে। পাশাপাশি যাঁরা AI বা ডেটা সায়েন্স নিয়ে ভবিষ্যতে পড়াশোনা করতে চান তাঁরা কীভাবে এগিয়ে যেতে পারেন সেই নিয়েও আলোচনা হয়। দ্য অ্যাসোসিয়েশন অফ প্রফেশনাল অ্যাকাডেমিক ইনস্টিটিউশনের (The Association of Professional Academic Institutions, West Bengal) এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।তিনি বলেন,এই যে এত ইনস্টিটিউশনের তথ্য খুব সহজে ছাত্রছাত্রীদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে এটা একটা যুগান্তকারী ভাবনা। নিজের ছোটবেলার কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, আগে এত সুযোগ ছিল না। কিন্তু বাংলায় এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে নানা বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করা এবং সেই মতো গাইডেন্স পাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। টেকনো ইন্ডিয়া (Techno India Group) গ্রুপের কর্ণধার সত্যম রায়চৌধুরী (Satyam Roychowdhury) বলেন, এই ফেয়ার প্রতিষ্ঠানকে সকলের সামনে প্রদর্শিত করার জন্য নয়, বরং ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে আগামীর সম্ভাবনাকে তুলে ধরার লক্ষ্য নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গেই যে বিশ্বমানের পড়াশোনা ও প্রশিক্ষণের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে তা জেনে পড়ুয়ারা বড় স্বপ্ন দেখুক এটাই কাম্য। সত্যমের কথায়, আমরা কেবল ক্যারিয়ার নয়, ভবিষ্যৎ গড়ে তুলছি।

MAKAUT-WB এবং AICTE দ্বারা অনুমোদিত APAI WB বাংলার যুব সমাজের মধ্যে অ্যাকাডেমিক উৎকর্ষতা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। তাদের উদ্যোগে আয়োজিত এই এডুকেশন ফেয়ারের মাধ্যমেও বাংলার শিক্ষা পরিসর এবং কর্মসংস্থানের সুযোগের কথাই উঠে এল।

–


–


–
–

–
–
–

–

–

–

–

–
–

–
–