Thursday, November 6, 2025

‘রাজা’ কেউ চায় না: ট্রাম্পের পাল্টা ব্রিকস থেকে ব্রাজিল-বার্তা

Date:

Share post:

ব্রিকস দেশগুলির বৃদ্ধিতে চোখ রাঙানি মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের। পাল্টা কোনও রাজা-কে যে মেনে নেওয়া হবে না, সেই বার্তা স্পষ্ট করে দিলেন ব্রিকস-এর অন্যতম সদস্য ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি লুলা দ্য সিলভা (Lula da Silva)। সেই সঙ্গে আবারও ব্রিকস (BRICS) সম্মেলন থেকে আন্তর্জাতিক লেনদেনে মার্কিন ডলার প্রতিস্থাপন নিয়ে সরব লুলা। ব্রিকস-এর মঞ্চ থেকে এভাবে আমেরিকার ক্ষমতা খর্ব করার চেষ্টায় যদিও ট্রাম্প (Donald Trump) যে খুশি নন, তা স্পষ্ট করে দেন মার্কিন প্রেস সচিব।

ব্রিকস সম্মেলন ২০২৫ (BRICS Summit 2025) থেকে বিশ্বের সর্বাধিক জনবহুল দেশগুলির জোট ও আমেরিকার প্রত্যক্ষ দ্বন্দ্ব স্পষ্ট। ব্রিকস দেশগুলি দাবি জানায় যেভাবে আমেরিকা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উপর শুল্ক চাপাচ্ছে তা অনৈতিক। বিশ্বের অর্ধেক জনবহুল দেশের জোট আমেরিকার প্রতিবাদ করায় সরব হন ট্রাম্পও। ব্রিকস থেকে কোনও সিদ্ধান্ত হওয়ার আগেই ট্রাম্পের হুমকি, ব্রিকস দেশগুলির উপর ১০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক (tariff) চাপানোর। তবে ট্রাম্পের এই হুমকিতে যে এতটুকু দমে যায়নি ব্রিকস দেশগুলি তার ইঙ্গিত দিয়েছিল চিন (China)।

এবার সরব হলেন ব্রাজিল রাষ্ট্রপতি লুলা দ্য সিলভা। বিশ্বের অর্থনীতিকে আমেরিকার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার বিরোধিতায় লুলা (Lula da Silva) বলেন, পৃথিবীটা বদলে গিয়েছে। আমরা কেউ রাজা চাই না। সেই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, এটা কয়েকটি দেশের একটি জোট যারা অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিশ্বকে নতুন পথ দেখানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।

ব্রিকস দেশগুলির এই দৃষ্টিভঙ্গিতে যে সমস্যায় পড়েছে আমেরিকা, তা ট্রাম্পের কথাতেই স্পষ্ট। মার্কিন প্রেস সচিব দাবি করেন, ব্রিকস-এর (BRICS) আলোচনায় গভীরভাবে নজর রেখেছেন ট্রাম্প। সেই জন্যই তিনি নিজে বক্তব্য পেশ করেছেন। এই দেশগুলির অগ্রগতি নিয়ে কোথাও আমেরিকার (USA) সমস্যা নেই। কিন্তু তারা আমেরিকাকে অগ্রাহ্য করলে তা মেনে নেওয়া হবে না। আর সেটাই অস্বস্তিতে ফেলেছে মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে।

আরও পড়ুন: BRICS দেশগুলির উপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক! বিরোধিতায় খেপলেন ট্রাম্প

ট্রাম্পের অস্বস্তি বুঝতে পেরেই স্পষ্ট বার্তা দেয় ব্রিকস-এর এবারের আয়োজক দেশ ব্রাজিল। রাষ্ট্রপতি লুলা দাবি করেন, বিশ্বকে নতুন অর্থনীতির দিক থেকে পথ দেখানোয় ব্রিকস (BRICS) অনেক দেশকে সমস্যায় ফেলছে। কার্যত স্পষ্ট তিনি আমেরিকার দিকেই ইঙ্গিত করেছেন। সেই সঙ্গেই তিনি যোগ করেন, বিশ্বে এমন অর্থনীতি (global economy) হওয়া প্রয়োজন যাতে বাণিজ্যকে আর মার্কিন ডলারের (US dollar) মাধ্যমে না যেতে হয়। অবশ্যই আমাদের সেটা অত্যন্ত দায়িত্বশীলভাবে করতে হবে। এই প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে সব সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কগুলির আলোচনার মাধ্যমে করতে হবে। গত ব্রিকস সম্মেলন থেকে এই বার্তা প্রকাশ্যে এলেও কোনও রাষ্ট্রনায়ক এত স্পষ্ট করে তা বিশ্বের সামনে তুলে ধরেননি যা এদিন লুলা করলেন।

spot_img

Related articles

রাত পোহালে প্রথম দফার নির্বাচন বিহারে: হিংসা ঠেকানোই চ্যালেঞ্জ

নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে পরপর খুন। রাজনৈতিক নেতা থেকে সমর্থক। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে তাই শান্তি বজায় রাখাই চ্যালেঞ্জ...

বাংলা কথায় দক্ষতা, কোন পদে পান তৃপ্তি? দীপ্তিকে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি খুললেন ‘অভিভাবক’ মিঠু

সন্দীপ সুর বাংলার প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপ জিতেছেন রিচা ঘোষ কিন্তু ভারতীয় দলের আরও এক ক্রিকেটারের সঙ্গে...

দিঘার জগন্নাথ ধামে প্রথম রাস উৎসবে ভক্তদের ঢল 

দিঘার জগন্নাথ ধামে এবারই প্রথম পালিত হল রাস উৎসব, আর সেই উপলক্ষে সকাল থেকেই উপচে পড়েছে ভক্তসমুদ্র। উৎসবের...

বেঁচে আছেন, তাই জানতে পারলেন ‘দোষী নন’: আজব বিচার উত্তরপ্রদেশে

বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের (Aligarh) মিঠু সিংয়ের জীবনে যেন সেটাই সত্যি হতে বসেছিল। অবশেষে ৫৫...