বিকেলেই নবনির্বাচিত বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে নিউটাউনের অফিসে দেখা করেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর সন্ধেয় তাঁকে দিল্লি ডেকে পাঠাল গেরুয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বুধবার স্বস্ত্রীক দিল্লি যাচ্ছেন দিলীপ ঘোষ। যদিও এদিন শমীক-সাক্ষাতে তিনি পুরনো কর্মীরা বর্তমান রাজ্য সভাপতির পাশেই আছেন সেই আশ্বাস দেন। কিন্তু এই ‘পুরনো’ শব্দ ঘিরে ইতিমধ্যেই জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কারণ অনেকের মতেই দিলীপ-শমীক এক হলে আবার বিজেপির আদি-নব্য দ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। এতদিন দিলীপ ঘোষের মতো আদি বিজেপি নেতৃত্বকে কোণঠাসা করেছিলেন দলবদলু নব্য পদ্ম নেতারা। এখন দিলীপ-শমীক এক হলে তাঁদের গোঁষা হবে কি না তাই নিয়ে চিন্তায় দীনদয়ালমার্গ। এই পরিস্থিতিতে দিলীপকে দিল্লি তলব রাজনৈতিক মহলের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

প্রসঙ্গত মঙ্গলবার বিকেলেই বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনায় বসেন দিলীপ ঘোষ। সেই বৈঠকের পর দিলীপের কণ্ঠে ফের বিজেপির পাশে থাকার ইঙ্গিত মিলেছে ঠিকই, তবে একুশে জুলাই পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেও নিজের অবস্থান নিয়ে রহস্য জিইয়ে রেখেছেন তিনি।

এদিকে গত কয়েক দিন ধরে বঙ্গ রাজনীতির সবচেয়ে বড় চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা ক্রমেই তীব্র হয়েছে, এবং দিলীপ নিজেও তা একেবারে উড়িয়ে দেননি। একুশে জুলাই তৃণমূলের মঞ্চ থেকে বড় কোনও ঘোষণা আসতে পারে— এমনই আলোচনা ঘুরছে রাজনৈতিক মহলে।

রাজ্য বিজেপিতে বর্তমানে যতই তাঁকে ব্রাত্য করে রাখা হোক, দিলীপ ঘোষ যে এখনো রাজ্য সংগঠনের অন্যতম মুখ, তা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও স্বীকার করে। আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যদি দিলীপ ঘোষ সত্যিই দল ছাড়েন, তাহলে তার অভিঘাত সামলানো রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাই দেরি না করে উদ্যোগী হয়েছে দিলীপকে ‘মানভঞ্জনে’।

আরও পড়ুন – বাংলা বলায় ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহ! দিল্লি থেকে পুশব্যাক বীরভূমের ছয় শ্রমিক, হাইকোর্টের দ্বারস্থ পরিবার

_

_

_

_

_

_
_
_
_
_