সংখ্যালঘু নিগ্রহের অভিযোগ ফের তীব্র হল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। রবিবার দিল্লি নিবাসী, বীরভূমের আদি বাসিন্দা দানিশ শেখ ও তাঁর স্ত্রী‑সন্তানকে বাংলাদেশে ‘পুশব্যাক’ করার খবর পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সোমবার প্রকাশ্যে এল আর এক ঘটনা—বীরভূমের ধুতরা গ্রামের সুইটি বিবি ও তাঁর দুই সন্তানকেও একইভাবে সীমান্ত পেরিয়ে পাঠানো হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।
সুইটি বিবি দীর্ঘদিন ধরে দিল্লিতে ছোটখাটো কাজ করতেন। আত্মীয় মহম্মদ আরিফ শেখের অভিযোগ, দিল্লি পুলিশের কাছে ভারতীয় নাগরিকত্বের যাবতীয় প্রমাণ দাখিল করেও রেহাই পাননি সুইটি বা তাঁর সন্তানরা। ‘‘বাংলার আদিবাসিন্দাদের একের পর এক বাংলাদেশে ঠেলে দিচ্ছে মোদি সরকার,’’—বলেন তিনি।
দুই ঘটনা সামনে আসতেই রাজনৈতিক চাপানউতোর চরমে। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম জানান, ‘‘সংখ্যালঘু বাঙালি ও প্রকৃত ভারতীয়দের বিরুদ্ধে এই চক্রান্ত আমরা রুখব। কোর্টে মামলা করব দু’-এক দিনের মধ্যেই।’’ তাঁর অভিযোগ, “বিজেপি ও মোদি সরকারের নোংরা রাজনীতি থামাতে আইনি লড়াই ছাড়া পথ নেই।” বিষয়টি নিয়ে দিল্লি পুলিশ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলির একাংশ বলছে, পরিচয় যাচাইয়ের প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও অবিলম্বে তদন্ত ছাড়া উদ্বাস্তু-অভিযানের এই প্রবণতা উদ্বেগজনক ফল বয়ে আনতে পারে। বীরভূমের ধুতরা গ্রামে দুই পরিবারের বাড়ির সামনে টাঙানো হয়েছে পোস্টার—‘আমাদের পরিবারকে ফিরিয়ে আনুন’। গ্রামজুড়ে শোক ও ক্ষোভ, রাজ্য জুড়ে শাসক‑বিরোধী লড়াইয়ের নতুন ইন্ধন যোগাল এই বিতর্কিত ‘পুশব্যাক’ কাহিনি।
আরও পড়ুন – আইপিএস স্তরে বড়সড় রদবদল, গোয়েন্দা বিভাগের ডিজি হলেন সিদ্ধিনাথ গুপ্তা
_
_
_
_
_
_
_
_
_
_
_