আসন্ন শ্রাবণী মেলা (Sraboni Mela) উপলক্ষে তারকেশ্বরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Benerjee) নির্দেশে অনুষ্ঠিত হল এক উচ্চপর্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক। তারকেশ্বর গেস্ট হাউসে আয়োজিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী ও প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অরূপ বিশ্বাস, সুজিত বসু, পুলক রায়, বেচারাম মান্না, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, জেলা সভাধিপতি রঞ্জন ধারা, হুগলির জেলাশাসক মুক্তা আর্য, হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন ও রেল দফতরের আধিকারিকরা।আগামী গুরু পূর্ণিমা থেকে শুরু হয়ে রাখী পূর্ণিমা পর্যন্ত একমাস ধরে চলবে এই শ্রাবণী মেলা (Sraboni Mela)। বৈদ্যবাটির গঙ্গা থেকে জল তুলে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী তারকেশ্বর রোড ধরে পায়ে হেঁটে তারকেশ্বর মন্দিরে এসে শিবের মাথায় জল ঢালেন—এই ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপথকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে শ্রাবণী মেলা। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বৈঠক শেষে জানান, “মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ, যেভাবে গঙ্গাসাগর মেলা ও দিঘার রথযাত্রা সুচারুভাবে সম্পন্ন হয়েছিল, ঠিক তেমনই শ্রাবণী মেলাও সফলভাবে সম্পন্ন করতে হবে। সেই লক্ষ্যেই আজকের বৈঠক।” মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, “তীর্থযাত্রীদের যাতায়াত, চিকিৎসা, থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা যাতে সুষ্ঠুভাবে হয়, তা নিশ্চিত করা হবে। পাশাপাশি এবার রাজ্য সরকার একটি নতুন সরকারি ওয়েবসাইট চালু করবে, যার মাধ্যমে তীর্থযাত্রীরা রেল ও সড়ক পরিবহন সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জানতে পারবেন।”প্রশাসনিক সূত্রে খবর, মেলার সময় ভিড় সামাল দিতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন, সিসিটিভি নজরদারি, মেডিকেল ক্যাম্প, বিশুদ্ধ পানীয়জল, অস্থায়ী শৌচালয় ও বিশ্রামাগারের ব্যবস্থা করা হবে। মেলাকে ঘিরে তারকেশ্বর ও সংলগ্ন এলাকায় নেওয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। হুগলির এই ঐতিহ্যবাহী মেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর লাখো ভক্ত সমাগম হয়। এবারের প্রস্তুতিতে প্রশাসনের তৎপরতা ও সচেতনতা ইতিমধ্যেই প্রশংসা কুড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। আরও পড়ুন :সন্দেশখালিতে নাবালিকা খুনের ঘটনায় গ্রেফতার বিজেপি নেতা, চাঞ্চল্য বসিরহাটে