কৃষক শ্রমিক বিরোধী কেন্দ্রীয় আইনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে ২৪ ঘণ্টার ধর্মঘট দেখেছে ট্রেড ইউনিয়নগুলি। বাংলায় এর কোন প্রভাব না পড়ায় ইচ্ছাকৃতভাবে অশান্তি তাকিয়ে গন্ডগোলের চেষ্টা বামেদের। জায়গায় জায়গায় রেল অবরোধ করার চেষ্টা হলেও পুলিশ ধর্মঘট সমর্থনকারীদের ঘটিয়ে দেয়। যাদবপুরে মিছিল করে সিপিএম নেতৃত্ব ও সমর্থকেরা কুশপুতুল জালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে গেলে আচমকাই আগুন ছিটকে রাস্তার পাশে থাকার দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সাময়িকভাবে আতঙ্ক তৈরি হয়।। উপস্থিত পুলিশকর্মীরা দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলেন। পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তবে স্থানীয় মানুষ থেকে শুরু করে পথ চলতি প্রত্যেকের মনেই আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

ধর্মঘট সফল করতে সকাল থেকে বিক্ষিপ্ত গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করেই চলেছে বাম সমর্থিত দলগুলি। যদিও মানুষ একেবারেই বনধ সফল হতে দেননি। অফিস থেকে শুরু করে স্কুল, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, বাজারহাট সবটাই স্বাভাবিক রয়েছে। শহর কলকাতায় পর্যাপ্ত বাস- ট্যাক্সি রয়েছে। সরকারি বেসরকারি অফিসে হাজিরাও অন্যান্য দিনের মতো।বনধ ঘিরে সতর্ক রাজ্য ও কেন্দ্রীয় প্রশাসন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নজরদারি বাড়ানো হয়েছে স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড ও গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিতে। গাঙ্গুলিবাগানে এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য (Srijan Bhattacharya) বিক্ষোভ দেখাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন।একযোগে তৃণমূল ও বিজেপিকে আক্রমণ করেন বাম নেতা। পুলিশকে ‘টায়ার চোর’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। পরবর্তীতে তাঁকে প্রিজন গানে করে নিয়ে যাওয়া হয়।সরকারি বাসের সামনে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখায় বাম সমর্থকরা। পুলিশের তরফে জানানো হয়, যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে পাশাপাশি যাতে কোনও অশান্তি না ঘটে সেদিকেও সজাগ দৃষ্টি দিয়েছে লালবাজার।

–

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–
–
–
–


