একদিন নাকি ১৬ বার সূর্যোদয় হয়! এও কি সম্ভব? আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (International Space Station) দু সপ্তাহ কাটিয়ে এমনই এক তথ্য সম্পর্কে অবগত হয়েছেন ভারতীয় মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা-সহ (Shubhanshu Shukla) বাকি বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ৪০৩ কিলোমিটার উপরে আইএসএসে (ISS) বসে নাকি প্রতিদিন ১৬ বার করে সূর্যোদয় দেখা যায়! ক্যাপ্টেন শুক্লা ছাড়াও ক্রু-কমান্ডার পেগি হুইটসন, মিশন বিশেষজ্ঞ স্লাওস উজানস্কি-উইজ়নিউস্কি এবং টিবর কাপুও মহাকাশে মোট দু’সপ্তাহে মোট ২৩০ বার সূর্য উঠতে দেখেছেন। বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতি জারি করে এমন তথ্যই জানিয়েছে অ্যাক্সিয়ম স্পেস (Axiom Space)।

মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্সের (Space X) ‘ড্রাগন’ ক্যাপসুলে চড়ে জুন মাসের ২৫ তারিখে আইএসএসের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন শুভাংশু-সহ চার নভশ্চর। আপাতত মহাকাশ স্টেশনেই রয়েছেন তারা। এই মিশনের নাম অ্যাক্সিয়ম-৪, যার মূল উদ্দেশ্য ISS-এ থেকে বায়োমেডিক্যাল সায়েন্স, অ্যাডভান্সড মেটেরিয়াল্স, নিউরোসায়েন্স, চাষবাস এবং মহাকাশ প্রযুক্তির মতো বিষয় নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা। অ্যাক্সিয়ম কর্তৃপক্ষের দাবি, এই সবকিছুই আগামীতে লোয়ার আর্থ অরবিটে (Lower Earth Orbit) মানুষের বসবাসের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলবে। বৃহস্পতিবার শুভাংশুদের মহাকাশে দু’সপ্তাহ পূর্ণ হল। তাঁরা কবে পৃথিবীতে ফিরে আসবেন, এখনও স্থির হয়নি। তবে যে কাজের জন্য তাঁরা গেছেন তার সবটাই প্রায় সম্পূর্ণ হয়েছে বলে খবর। মহাকাশ স্টেশনে বিজ্ঞানীরা লন্ডনের গ্রিনিচের সময় অনুযায়ী সময়ের হিসাব রাখেন। সেখান থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রতি ৯০ মিনিটে পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণ করে আইএসএস। তাই দিনে ১৬ বার করে সূর্য ওঠে ISS-এ। শুক্র- শনিবার (১১ ও ১২ জুলাই) ভারতের মেঘমুক্ত পরিষ্কার আকাশ থেকেও উজ্জ্বল দ্রুতগামী আলোকবিন্দু রূপে আইএসএসের দেখা মিলতে পারে বলে জানিয়েছে নাসা (NASA)। অ্যাক্সিয়ম স্পেসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘পৃথিবী থেকে ২৫০ মাইল উপরে বসে আমাদের ক্রু সদস্যেরা পৃথিবীর ছবি এবং ভিডিয়ো তুলছেন। প্রিয়জনদের সঙ্গে কথাও বলছেন। ২৩০ বার তাঁরা পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে ফেলেছেন। প্রায় ১০০ লক্ষ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছেন।’’ শুভাংশুদের পৃথিবীতে ফেরার দিনক্ষণ সম্পর্কে নাসার কমার্শিয়াল ক্রু প্রোগ্রামের ম্যানেজার স্টিভ স্টিচ এক প্রেস কনফারেন্সে বলেন, “আমরা Axiom-4 মিশনের গতিবিধি প্রতিমুহূর্তে পর্যবেক্ষণ করছি। এখন পর্যন্ত পরিকল্পনা অনুযায়ী, ওই মিশনের আনডক করার তারিখ ১৪ জুলাই।”। এখনও পর্যন্ত প্রত্যেকেই সুস্থ ও নিরাপদে আছেন।

–

–

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–
–
–