নির্বাচন আসন্ন। রাজনৈতিক উত্তেজনার থেকেও বিহারে তা স্পষ্ট হচ্ছে বাড়তে থাকা অপরাধের ঘটনায়। ব্যবসায়ী গোপাল খেমকার হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহের মধ্যেই পাটনাতেই (Patna) খুন হলেন বিজেপির কিষাণ মোর্চার নেতা সুরেন্দ্র কেওয়াত। সূত্রের খবর, শনিবার রাতে সুরেন্দ্র শেখপুরার মাঠে কাজ করার সময়ে দুই আততায়ী বাইকে চেপে সেখানে আসে। বাইক থেকেই আততায়ীরা সুরেন্দ্র কেওয়াতকে লক্ষ্য করে পর পর চারটি গুলি করে পালিয়ে যায়। আওয়াজ শুনে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে ৫২ বছরের বিজেপি নেতাকে উদ্ধার করে দ্রুত পাটনার এইমস-এ (Patna AIIMS) নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
তবে এখানেই শেষ নয়। খুনের ধারাবাহিকতার শুরু শনিবার রাত থেকে। সীতামার্থি এলাকায় এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে পালিয়ে যায় তিন অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতী। ওয়াসিম আনোয়ার খান ওরফে পুট্টু খান নামের ওই ব্যবসায়ীকে (businessman) খুনের ঘটনা ফের একবার মনে করিয়ে দেয় একই জেলা পাটনায় মাত্র কয়েকদিন আগের ব্যবসায়ী গোপাল খেমকার খুনের ঘটনা।
ওয়াসিমের খুনের ঘটনায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ একজনকে আটক করেছে। সেই সঙ্গে সিট (SIT) গঠন করে শুরু হয়েছে খুনের তদন্ত। যদিও গোপাল খেমকার খুনের মতোই সেই তদন্তে কোনও সূত্র আদৌ পাওয়া সম্ভব হবে কি না, তা এখনও অজানা।
আরও পড়ুন: বিহারে SIR ফর্মের পর্দাফাঁস, নাম বাংলাদেশ-নেপাল-মায়ানমার নাগরিকদের
অন্যদিকে বিজেপি নেতা সুরেন্দ্র কেওয়াতের খুনের তদন্ত শুরু করেছে পিপড়া থানার পুলিশ। সুরেন্দ্রর পরিবারের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। পুলিশের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খবর পেয়ে ফুলওয়ারির বিধায়ক সিপিআইএমএল (লিবারেশন)-এর গোপাল রবিদাস ও বিহারের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যাম রজক হাসপাতালে যান। নিহতের পরিবারের সঙ্গে তাঁরা দেখা করেন। পর পর দুটি ঘটনার পর তেজস্বী যাদব এনডিএ জোট সরকারকে নিশানা করে এক্সে পোস্ট করে লেখেন, ‘পাটনায় একজন বিজেপি নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হল। কী বলব আর কাকে বলব? এনডিএ সরকারের কেউ কি সত্যি কথা শুনতে বা তাঁদের ভুল স্বীকার করতে চান?’
–
–
–
–
–
–
–
–
–