জি.টি.এ(গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) শিক্ষক নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত শিক্ষকদের কেন রোপা ২০১৯ এর সুবিধা দেওয়া হল জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চ। সোমবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু রোপা ২০১৯ সংক্রান্ত প্রশ্ন রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেন কিন্তু অন্যান্য আরো বেশ কয়েকটি মামলায় উপস্থিত থাকার কারণে আদালতে উপস্থিত হতে পারেন না কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে যান বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। মামলার পরবর্তী শুনানি বৃহস্পতিবার। পরবর্তী শুনানির দিন অভিযুক্ত চাকরিপ্রার্থীদের রোপা ২০১৯-এর সুবিধা দেওয়া প্রসঙ্গে রাজ্য কী পদক্ষেপ নিল তা আদালতকে জানাতে হবে বলে নির্দেশ একক বেঞ্চের।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাজ্যের তরফে আইনজীবী শীর্ষণ্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই মামলার শুনানি চলাকালীন তাঁরা জানতে পারে, রোপা ২০১৯-এর সুবিধা জিটিএ নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত চাকরিপ্রার্থীদের দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, এদিন আবেদনকারীদের তরফে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, রেগুলার নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী রেগুলার ভ্যাকেন্সি ও রেগুলার অ্যাপয়েন্টমেন্ট রুল থাকা বাধ্যতামূলক। অথচ এই মামলায় তা মানা হয়নি। কোনও রকম ব্যাক ডোর পদ্ধতিতে চাকরি পাকা করার কোনও সুযোগ নেই। সব নাগরিকদের জন্যই সমান সুযোগ থাকা উচিত। একজন ক্যসুয়াল ওয়ার্কার বা কনট্রাকচুয়াল ওয়ার্কার কখনোই তাঁর চাকরি পার্মানেন্ট করে দিতে বলতে পারেনা না।
আরও পড়ুন- বার্ধক্য ভাতা প্রাপ্তিতে নতুন নিয়ম: নিয়ন্ত্রণ এখন কলকাতা পুরসভার হাতে
_
_
_
_
_
_
_
_
_
_
_
_