Friday, August 22, 2025

কেন্দ্রের কু-নজরে সিঙাড়া-জিলিপি! মানুষের খাদ্যাভ্যাসে হস্তক্ষেপ সঠিক কাজ নয়: প্রতিবাদ মমতা

Date:

কেন্দ্রের খাদ্য-ফতোয়া নিয়ে প্রতিবাদে সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সিঙাড়া ও জিলিপি নিয়ে কেন্দ্রের ফতোয়ার নিয়ে নিজেরে এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, মানুষের খাদ্যাভ্যাসে হস্তক্ষেপ করা সঠিক কাজ নয়।

সিগারেটের সঙ্গে এক সারিতে বসানো হয়েছে সিঙাড়া, জিলিপির মতো খাবারকে। ফলে এগুলিও না কি সমান ক্ষতিকর। আর সেই কথা মনে করাতে লেখা থাকবে, বিধি বদ্ধ সর্তকীকরণ! স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, এইধরনের খাবারে কতটা ফ্যাট, চিনি ও ট্রান্স ফ্যাট লিখে দিতে হবে স্পষ্ট করে। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এই নির্দেশিকা কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে গিয়েছে। নাগপুরে AIM’S-এ ইতিমধ্যে এই নির্দেশিকা মেনে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রচার।

এর প্রতিবাদে সরব মমতা। তিনি ফতোয়া নয়, খাবার গুণমান ঠিক রাখার বিষয়ে জোর দিয়েছেন। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) লেখেন,
”কিছু সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশে এখন থেকে নাকি সিঙ্গাড়া/জিলিপি খাওয়া যাবে না। এটা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোনো বিজ্ঞপ্তি নয়। আমরা সব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করি না। আমরা এই বিজ্ঞপ্তি কার্যকরও করব না। আমার মনে হয়, সিঙ্গাড়া এবং জিলিপি অন্যান্য রাজ্যেও জনপ্রিয়। সেইসব রাজ্যের মানুষরাও এই খাবারগুলি ভালোবাসেন। মানুষের খাদ্যাভ্যাসে হস্তক্ষেপ করা সঠিক কাজ নয়।”

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেন রাজ্য কে কী খাবেন, স্বাধীনতা তাঁর। খাদ্যের গুণমান ঠিক থাকলে খাদ্যবস্তুর উপর কোনও বিধিনিষেধ বা হস্তক্ষেপ উচিত নয়। বাংলায় এসব হবে না।

প্রশ্ন উঠছে যেসব দোকানে শিঙাড়া, জিলিপি, লাড্ডু, বড়া, পাও-এর মতো খাবার পাওয়া যায়, সেইসব দোকানে এই চার্ট টাঙানোর জায়গা কোথায়! আর কেইবা তা হিসেব করে লিখবেন!

এই বিষয়টি থেকেই স্পষ্ট ছোট দোকান তুলে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই কেন্দ্রের এই ষড়যন্ত্র।  কারণ, সরকারের এই পদক্ষেপ আসলে স্বাস্থ্যনীতি নয়, সবটাই লোকদেখানো নাটক। এতে সমস্যার সমাধান নয়, বরং গরিব মানুষের সস্তা খাবার ও তাদের জীবিকাকে অপরাধী বানানো হচ্ছে। ছোট ব্যবসায়ী, যাঁরা রাস্তার মোড়ে সিঙাড়া-জিলিপি ভাজেন তাঁদের পেটে লাথি মারার চক্রান্ত করা হচ্ছে। সত্যিই যদি দেশের সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবা হত, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত ছিল আল্ট্রা-প্রসেসড ফুড বাতিল করা। তরিতরকারি, ডাল, ফলমূলের দাম কমানো। স্থানীয় কৃষি ও দেশীয় খাবারের সংস্কৃতি রক্ষা করা।
আরও খবরনিজেদের বাঁচাতে জল ছাড়ছে DVC, বাংলা ডুবছে: ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী, ১০ জেলার প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ

Related articles

আইনি জটিলতা কাটিয়ে স্নাতকের মেধাতালিকা প্রকাশ, শুরু হচ্ছে ভর্তি: জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

আইনি জটিলতা কাটিয়ে স্নাতকস্তরে প্রকাশিত হল অনলাইনে পোর্টালে ভর্তির ফলাফল। শুক্রবার ফল (Result) প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই ভর্তি প্রক্রিয়া...

কিছু হাই কোর্টের বিচারপতির কর্তব্যবোধ কম পড়ছে: মত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির

একাধিক হাই কোর্টের বিচারপতিদের স্বরূপ বাংলায় অনেক আগেই খুলে গিয়েছে, যখন হাই কোর্টের বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে...

মোদিজি আসুন বাংলার উন্নয়ন দেখে যান: কটাক্ষ চন্দ্রিমার

“ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে আবার আসতে শুরু করেছেন। এবার থেমে থাকুন দাদা।“ নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কড়া...

স্বপ্নভঙ্গ নয়, মুক্তির লড়াই: জাতীয় স্তরের রেফারি হলেন গোপীবল্লভপুরের মনি খিলাড়ি

এ গল্প কোনো স্বপ্নভঙ্গের নয়, বরং শৃঙ্খল ভাঙার গল্প। কনকনে শীতের রাতে বাড়ি থেকে পালিয়ে নিজের বিয়ে ভেঙে...
Exit mobile version