ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি তথা আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের (Jaish-e-Mohammed) প্রধান মাসুদ আজহারকে (Masood Azhar) পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। এই তথ্য সামনে আসতেই প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। কারণ কিছুদিন আগেই পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো (Bilawal Bhutto) দাবি করেছিলেন যে মাসুদ আজহার পাকিস্তানে নেই। এবার সেই দাবি কার্যত মিথ্যে প্রমাণিত হলো। যদিও কিছুদিন আগেই পাক সরকার পহেলগাম (Pahalgam) হামলায় নিজেদের যোগ অস্বীকার করলেও জঙ্গি মদতে পাকিস্তানের ৩০ বছরের অভিজ্ঞতা স্বীকার করেছিলেন তাদেরই বিদেশ মন্ত্রী খোয়াজা আসিফ। এক সাক্ষাৎকারে পাক বিদেশমন্ত্রী খোয়াজা আসিফ (Khawaja Asif) স্বীকার করে জানিয়েছিলেন, পাকিস্তান গত ৩০ বছর ধরে আমেরিকা ও পশ্চিমা বিশ্বের হয়ে জঙ্গিদের ব্যবহার করেছে। উল্লেখ্য, মাসুদ আজহারকে (Masood Azhar) রাষ্ট্রসংঘ আন্তর্জাতিক জঙ্গি বলে ঘোষণা করলে পাকিস্তান সরকার তার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। বরং তার গোপন চলাফেরার উপর চুপ থাকার অভিযোগে বারবার কাঠগড়ায় উঠেছে ইসলামাবাদ।

উল্লেখযোগ্যভাবে, এই এলাকাটি এক নির্জন পাহাড়ি অঞ্চল। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সেখানে কিছু হ্রদ, পার্ক, দু’টি মসজিদ ও বেশ কয়েকটি মাদ্রাসা রয়েছে। তবে সাধারণ পর্যটকদের ভিড় তেমন একটা দেখা যায় না। এমন জায়গাতেই গত কয়েকদিনে মাসুদ আজহারকে একাধিকবার ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে, যার প্রমাণ হিসেবে কিছু ছবি ও ভিডিও গোপনে সংগ্রহ করেছে আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের চালানো ‘অপারেশন সিন্দুরের’ (Operation Sindoor) পর বাহাওয়ালপুর ছিল মাসুদের জন্য এক আতঙ্কের নাম। ওই অভিযানে জইশের বহু ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। মৃত্যু হয় বহু জেহাদির। এমনকি সেই হামলায় মাসুদের পরিবারের ১৪ জন সদস্য প্রাণ হারান বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছিল।

তবে প্রশ্ন উঠছে, বাহাওয়ালপুরের বাইরে মাসুদ আজহারের অবাধ চলাফেরার জন্য কতটা নিরাপদ? কী উদ্দেশ্যে সে এই এলাকায় যাচ্ছে? বিশেষ কোনো মদ্রাসা ঘাঁটি গড়ে তোলার পরিকল্পনা চলছে কি না, তা নিয়েও সন্দেহ উস্কে দিয়েছে গোয়েন্দা মহল। ভারতের তরফে ইতিমধ্যেই বিষয়টি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলের নজরে আনার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা আধিকারিকরা স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, পাকিস্তানের মাটিতে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য গড়ে তোলার এই প্রমাণ নতুন করে পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিচ্ছে। আরও পড়ুন: বাবলা সরকার খুনে ফের নয়া মোড়! সাত মাস পর আত্মসমর্পণ মূল অভিযুক্তের

–

–

–

–

–
–

–

–
–
–
–
–