Thursday, November 6, 2025

হাইকোর্টের কথার উপরে কোনওরকম মন্তব্য না করে একুশে জুলাইয়ের আবেগ ও শ্রদ্ধার জবাব দিল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের স্পষ্ট কথা, একুশে জুলাইয়ের (Ekushe July) কর্মসূচির সঙ্গে অন্য কোনও কর্মসূচি মিলিয়ে দেখা যায় না। যেতে পারে না।

বাংলার বুকে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক পরিকল্পিত রাষ্ট্রীয় গণহত্যার ঘটনা হয়েছে ১৯৯৩ সালে ২১ জুলাই। পুলিশ বেছে বেছে নিরস্ত্র রাজনৈতিক কর্মীদের হত্যা করেছে। শহিদদের স্মৃতিতর্পণের সঙ্গে অন্য কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি মেলে না। এ-বিষয়ে মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ তৃণমূল ভবনে সাংবাদিকদের বলেন, এটা শুধু রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটা একটা আবেগ। চোখে জল, বুকে আগুন এবং ইতিহাসের পাতার সামনে রেখে শহিদদের পুষ্পস্তবক দেওয়ার দিন। ফলে মহামান্য কোর্টের যদি মনে হয় কোর্টের দিকে যাতায়াতের জন্য খোলা থাকবে, তবে অন্য দল যখন মিছিল-মিটিং করছে, কেউ নবান্ন অভিযান ডাকছে, উত্তরকন্যা অভিযান ডাকছে তখন বলতে পারছেন না! প্রতিবার বেছে বেছে একুশে জুলাইয়ের (Ekushe July) দিনটা মুছে দিতে চায় কারা! যারা অন্তরাত্মায় সিপিএম (CPIM)। সিপিএম নেতাদের তাদের পাপ তাদের সন্ত্রাস। প্রত্যেকটি পেশার মধ্যেও একজন-দু’জন কমরেডদের, সিপিএমের আত্মা থেকে গেছে। আমি কিন্তু কারও সম্পর্কে কিছু বলছি না। কুণালের সংযোজন, অনেকের টার্গেট ২১শে জুলাই। একুশে জুলাই কতগুলো মৃতদেহ? মেয়ো রোড – ধর্মতলা- ব্রেবোর্ন রোডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) খুনের চেষ্টা। কোর্ট যা বলছে প্রশাসন দেখছে। রাজ্য সরকার দেখবে। দল দেখবে।

একুশে জুলাই দিনটা শহিদ তর্পণ। আবেগ এবং গণতন্ত্রে একুশে জুলাইয়ের ঘটনাটা প্রজন্মের পর প্রজন্মকে মনে করিয়ে দেওয়ার দিন। সিপিএমের (CPIM) তো কলঙ্কের রেকর্ডের শেষ নেই। সব থেকে পরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। বাংলার ইতিহাসে সবথেকে বড় সন্ত্রাস। রশিদ কেলেঙ্কারি। লালবাজার, রাইটার্সের থেকে ১০০ মিটার দূরে একটা আস্ত বাড়ি উড়ে গেল জাস্ট আরডিএক্স ব্লাস্ট করে। বিজন সেতুর ওপর আনন্দমার্গী সন্ন্যাসী হত্যা। বাংলার বৃহত্তর গণহত্যা নেতাই। মোট মৃত ন’জন। চারজন গৃহবধূ। এগুলো যারা ভুলিয়ে দিতে চাইছে, একটা দিন বছরে একুশে জুলাই। একটা রাজনৈতিক আন্দোলনের পূর্বসূরি যাঁরা ছিলেন, সবাই সেদিন তাঁদের শ্রদ্ধা জানাতে চায়। আশা করি রাতের বেলা সানগ্লাস পরে কেউ বিচার করবেন না। অন্যরা যখন রাস্তা আটকে নবান্ন চলো- তমুক চলো এসব করে তখন এগুলোকে যেন মনে রাখা হয়।

আরও পড়ুন: এসএলএসটি নিয়োগ: সেপ্টেম্বরেই পরীক্ষার প্রস্তুতিতে চিঠি

দলের সাফ কথা, যে যাই করুক, এগুলো অপ্রাসঙ্গিক পরিবর্তন পরিণত হবে। মানুষ মন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রদ্ধা করেন, সম্মান করেন, শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে চান। কে কোথায় কী করছে, কে কোথায় কী বলছে— একটা বড় যখন স্রোত আসে তখন এই অপচেষ্টাগুলো নষ্ট হয়ে যায়।

Related articles

রাত পোহালে প্রথম দফার নির্বাচন বিহারে: হিংসা ঠেকানোই চ্যালেঞ্জ

নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে পরপর খুন। রাজনৈতিক নেতা থেকে সমর্থক। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে তাই শান্তি বজায় রাখাই চ্যালেঞ্জ...

বাংলা কথায় দক্ষতা, কোন পদে পান তৃপ্তি? দীপ্তিকে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি খুললেন ‘অভিভাবক’ মিঠু

সন্দীপ সুর বাংলার প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপ জিতেছেন রিচা ঘোষ কিন্তু ভারতীয় দলের আরও এক ক্রিকেটারের সঙ্গে...

দিঘার জগন্নাথ ধামে প্রথম রাস উৎসবে ভক্তদের ঢল 

দিঘার জগন্নাথ ধামে এবারই প্রথম পালিত হল রাস উৎসব, আর সেই উপলক্ষে সকাল থেকেই উপচে পড়েছে ভক্তসমুদ্র। উৎসবের...

বেঁচে আছেন, তাই জানতে পারলেন ‘দোষী নন’: আজব বিচার উত্তরপ্রদেশে

বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের (Aligarh) মিঠু সিংয়ের জীবনে যেন সেটাই সত্যি হতে বসেছিল। অবশেষে ৫৫...
Exit mobile version