চার প্রজন্ম ধরে বীরভূমের (Birbhum) পাইকরের বাসিন্দা। দাদু ও ঠাকুরদার ভারতে থাকার ১৯৫৬ সালের দলিল পাওয়া গিয়েছে। তার পরেও বাংলাদেশি তকমা দিয়ে দিল্লিতে (Delhi) পুশব্যাকের চেষ্টা সুইটির পরিবারকে। তীব্র কষ্টের মধ্যে থাকতে হচ্ছে তাদের। একই পরিস্থিতি দানিশ শেখের পরিবারেরও। কেন বাংলাদেশে পুশব্যাক? প্রশ্ন তুলেছেন পাইকরের বাসিন্দারা। বাংলাভাষীদের উপর এই আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে তৃণমূল। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দিকেই তাকিয়ে সুইটিরা।
আগেই পাইকর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শামিমা বিবি বলেন, “দুই পরিবারই এখানে চার পুরুষ ধরে রয়েছে। চার পুরুষের বংশ তালিকায় আমার কাছে রয়েছে। তাহলে ওরা বাংলাদেশি হল কীভাবে?“ এবার সামনে এলো সুইটি বিবির দাদু এবং ঠাকুরদার ১৯৫৬ সালের দলিল। RTI- করে সেই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। রীতিমতো বীরভূমের (Birbhum) জমির দলিল রয়েছে সুইটির পূর্বপুরুষদের নামে। তার পরেও বাংলাভাষী হওয়ায় দিল্লিতে হেনস্থার মুখে পড়তে হচ্ছে সুইটদের।
রোহিনীর ২৬ নম্বর সেক্টরের বাঙালি বস্তিতে সুইটি বিবি ও তাঁর দুই সন্তান বছর পাঁচেক দিল্লিতে রয়েছেন। সেখানে পরিচারিকার কাজ করেন সুইটি। তাঁর আদি বাড়ি পাইকরের হাসপাতালপাড়ায়। তাঁর বাবা সাইফুল শেখ পেশায় কৃষক। সুইটি বিবির স্বামী প্রায় পাঁচ বছর নিখোঁজ। পাইকরে থাকেন সুইটির শাশুড়ি।
গত ১৮ জুন দিল্লির রোহিনী জেলা পুলিশের কেএন কাটজু থানা থেকে তাঁদের আটক করা হয়। সুইটির পরিবারের দাবি, তাঁদের কাছে ভারতের বৈধ আধার, ভোটার, রেশন কার্ড রয়েছে। সব কিছু দেখানোর পরেও পুলিশ (Police) কোনও কিছু মানতে চাইছে না। রীতিমতো ভিডিও পোস্ট করে তাঁরা অভিযোগ করছেন তাঁদের বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের থাকা-খাওয়ার জায়গা নেই। সুইটি বিবির মাসি লুৎফা বিবি বলেন, “এত কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও ওদের পুশব্যাক করা হয়েছে, এখন আমরা কি করব?” বাংলাভাষীদের উপর এই আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে তৃণমূল। বাংলা থেকে দিল্লি এই ভাষা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে বাংলার শাসকদল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেই তাকিয়ে সুইটিরা।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–