ডুরান্ডের শুরুতেই গোলের বন্যা ইস্টবেঙ্গলের (Eastbengal)। বেঙ্গালুরুর সাউথ ইউনাইটেডকে (South United) ৫-০ গোলে হারিয়ে এবারের ডুরান্ড কাপে যাত্রা শুরু করললাল-হলুদ ব্রিগেড। ইস্টবেঙ্গলের (Eastbengal) জার্সিতে অভিষেকেই গোল পেলেন বিপিন সিং (Bipin Singh)। প্রথম ম্যাচেই গোল পেলেন দিমিত্রি দিয়ামন্তাকসও (Dimitri Diamantakos)। যুবভারতীতে উদ্বোধনী ম্যাচে নেমেছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। সেখানেই দুরন্ত পারফরম্যান্স দেখালেন অস্কার ব্রুজোঁর ছেলেরা। তবে একটা চিন্তাও রয়ে গেল। চোট নিয়ে এদিন মাঠ ছাড়েন পিভি বিষ্ণু (PV Bishnu)।
সাউথ ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে এদিন শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তুলেছিল ইস্টবেঙ্গল (Eastbengal)। ম্যাচের ২ মিনিটের মধ্যেই গোল পেয়ে যেতে পারত লাল-হলুদ ব্রিগেড, তবে মহেশের শট আটকে দিয়েছিলেন সাউথ ইউনাইটেডের গোলরক্ষক নিশান্ত। তবে প্রথম গোল পেতে খুব একটা অপেক্ষা করতে হয়নি ইস্টবেঙ্গলকে। লালচুংনুঙ্গার গোল থেকেই এগিয়ে যায় লাল-হলুদ ব্রিগেড। এরপরই ইস্টবেঙ্গল আরও চাপ বাড়াতে থাকে প্রতিপক্ষ শিবিরের ওপর। একের পর এক ফ্রিকিক এবং কর্ণারে কার্যত নাজেহার অবস্থা ছিল সাউথ ইউনাইটেডের। এরপরই লালরিনডিকাকে ফাউল করে ইস্টবেঙ্গলকে একটা পেনাল্টি উপহার দেয় সাউথ ইউনাইটেড।
সেই বল জালে জড়াতে একেবারেই ভুল করেননি সওল ক্রেসপো (Saul Crespo)। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ায় অনেকটাই অক্সিজেন পেয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল (Eastbengal)। বিরতির পরই মাঠে আসেন ইস্টবেঙ্গলের এই ম্যাচে তৃতীয় বিদেশি দিমিত্রি দিয়ামনতাকস। গতবারের থেকে এবার দিমিত্রি যেন অনেকটাই আলাদা। শুরু থেকেই গোল খুঁজতে ব্যস্ত। আর তাঁকে সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছিল প্রতিপক্ষ শিবিরের রক্ষণ।
তাঁরই বাড়ানো বল থেকে বিপিন সিংয়ের এই মরসুমে প্রথম গোল। তবে দিমিত্রিকে এদিন গোল পেতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ম্যাচের বয়স যখন ৮৬ মিনিট সেই সময় ফ্রিকিক থেকে দিমিত্রি দিয়ামনতাকসের গোল। ম্যাচের ভবিষ্যৎ অনেকক্ষণ আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল এদিন কোনও সুযোগই ছাড়তে নারাজ ছিল।
একেবারে শেষ মুহূর্তে অবশেষে গোল পান নাওরেম মহেশ। তাঁর তৈরি করা আক্রমণ এদিন বারবারই কঠিন পরীক্ষায় ফেলেছিল সাউথ ইউনাইটেডকে। কিন্তু তিনি গোল পাচ্ছিলেন না। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে সেই মহেশের গোলেই পাঁচ গোলের বৃত্ত সম্পূর্ন ইস্টবেঙ্গলের। এরপরই রেফারির ফাইনাল বাঁশি। ডুরান্ডের প্রথম ম্যাচেই অস্কার ব্রুজোঁর মুখে চওড়া হাসি। স্টেডিয়ামেই উচ্ছ্বাস লাল-হলুদ সমর্থকদের।
সবে একটা ম্যাচ জিতল ইস্টবেঙ্গল। এই ধারাই ভবিষ্যতের ম্যাচ গুলোতেও তারা ধরে রাখতে পারে কিনা সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে সকলে।
–
–
–
–
–
–
–
–
–