বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে পরিকল্পিতভাবে সব ছেড়ে বাংলাভাষীদের বেছে বেছে হেনস্থা করা হচ্ছে বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে। বুধবার এই ইস্যুতে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করলেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বিজেপিকে আক্রমণ করে কুণাল এদিন বলেন, “বাংলা বলা কি দোষের? আমরা পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি, আর দেশের নানা প্রান্তে বাঙালিরা বসবাস করেন, কাজ করেন। যেমন অন্য রাজ্যের মানুষ এ রাজ্যে আসেন, তেমনই দক্ষ বাঙালিদের অনেকে দেশের নানা প্রান্তে কাজ করতে যান। কিন্তু আজ দেখা যাচ্ছে, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালিদের ওপর নির্যাতন ও দমনপীড়ন চলছে।”
কুণাল ঘোষ আরও বলেন, “আমাদের নেত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এই অমানবিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিবাদ হবে।” বিজেপির জঙ্গি-তকমা দেওয়ার প্রবণতাকেও কটাক্ষ করে কুণাল বলেন, “আজ গুজরাট এসটিএফ চারজন জঙ্গিকে ধরেছে, দু’জন গুজরাত থেকে, দু’জন দিল্লি থেকে। আবার গাজিয়াবাদে ধরা পড়েছে এক ভুয়ো কূটনীতিক, যে প্রকাশ্যে ভুয়ো দূতাবাস চালাচ্ছিল। তার কাছ থেকে মিলেছে তিরিশটি দেশের ভুয়ো নথিপত্র। তাহলে এসব কে করছে? তারা তো বাংলাভাষী নয়। তাহলে শুধু বাঙালিদের কেন টার্গেট করা হচ্ছে?”
তিনি বলেন, “বাংলাভাষী মানেই বাংলাদেশি— এই ধারণা মেনে নেওয়া যায় না। সীমান্ত নিরাপত্তার দায়িত্ব তো কেন্দ্রীয় সরকারের, বিএসএফ তো আপনাদের নিয়ন্ত্রণে। অনুপ্রবেশ ঘটলে, তার দায়ও আপনাদের।” তৃণমূল মুখপাত্রের দাবি, “ওড়িশায় বাংলাভাষী শ্রমিকদের নির্মমভাবে আটকে রাখা হচ্ছে, কোথাও মতুয়া সম্প্রদায়কে, কোথাও রাজবংশীদের হয়রানি করা হচ্ছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালিদের এভাবে টার্গেট করাকে আগুন নিয়ে খেলা বলে উল্লেখ করেছেন কুণাল।” তাঁর হুঁশিয়ারি, “যে যে এলাকায় বাংলাভাষী মানুষদের হেনস্থা করা হচ্ছে, সেই এলাকার বিজেপি নেতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রতিবাদ জানাবে তৃণমূল কংগ্রেস।”
আরও পড়ুন – NRS-এর হস্টেলে DJ বাজিয়ে পার্টি! JDF-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ JDA-এর
_
_
_
_
_
_
_
_
_
_
_