বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যুদ্ধের দামামার মাঝে নতুন করে অশান্তি ছড়ালো দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট এলাকার দখল নিতে একে অন্যের উপর এয়ার স্ট্রাইক শুরু করল থাইল্য়ান্ড (Thailand) ও কম্বোডিয়া। থাইল্যান্ডের দাবি, ইতিমধ্যেই কম্বোডিয়ার (Cambodia) হামলায় তাদের দেশের ১১ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। কম্বোডিয়ায় এখনও মৃত্যুর খবর নেই। তবে কোন দেশ কার উপর আগে হামলা চালিয়েছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া ও লাওসের সীমানায় এমারেল্ড ট্রাইঅ্যাঙ্গেলের (Emerald Triangle) দখল কার হাতে থাকবে তা নিয়ে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে দ্বন্দ্বে থাইল্য়ান্ড ও কম্বোডিয়া। ঔপনিবেশিক শাসনের (colonial period) সময় থেকে ইউরোপীয় ঔপনিবেশিকদের কারণে থাইল্যান্ডের ম্যাপ তৈরির সমস্যার কারণে মূলত দুই দেশের দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। বিস্তর পুরোনো মন্দির ও ঘন জঙ্গলে ঘেরা এই এমারেল্ড এলাকাকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট (World Heritage Site) ঘোষণা করার পরে দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে। থাইল্য়ান্ডের (Thailand) দাবি, কম্বোডিয়া (Cambodia) প্রথম বৃহস্পতিবার রকেট আর্টিলিয়ারি ফায়ারিং শুরু করে। পরিবর্তে ব্যাংককে অবস্থিত কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূতকে ফেরৎ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় থাইল্যান্ডের তরফে।
যদিও কম্বোডিয়া দাবি করে, থাইল্যান্ডই প্রথম হামলা চালায়। এমারেল্ড ট্রাইঅ্যাঙ্গেল (Emerald Triangle) পাহারা দেওয়ার জন্য যে ছয়টি এফ সিক্সটিন (F-16) যুদ্ধবিমান নিয়োগ করেছিল থাইল্য়ান্ড তার মধ্য়ে একটি থেকেই হামলা চালানোর অভিযোগ। কম্বোডিয়ার দুটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালানোর অভিযোগ তোলা হয় থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে। সেই হামলায় ১১ জন আহত হওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: UGC-NET-এ সাফল্য বাংলার ছাত্রীদের: শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর
মূলত অতর্কিতে দুই দেশের সীমান্ত এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় সাধারণ নাগরিকরা বিপদে পড়েন। স্কুল পড়ুয়া থেকে সীমান্তবর্তী গ্রামের মানুষদের দিনের কাজ চলাকালীন বাঙ্কারে আশ্রয় নিতে দেখা যায় থাইল্যান্ডে। ব্য়াংককের দাবি, কম্বোডিয়া জেনেভা চুক্তি লঙ্ঘন করে হাসপাতাল ও নাগরিক এলাকায় হামলা চালিয়েছে। মৃতদের মধ্যে একটি ৮ বছরের শিশুও রয়েছে।
–
–
–
–
–
–
–
–
–