আদালতের একাধিক পুরোনো পর্যবেক্ষণ উঠে এলো চলতি ভোটার তালিকা নিবিড় সংশোধনী ইস্য়ুতে। আর সেখানেই স্পষ্ট হয়ে গেল যে প্রক্রিয়ায় জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission) বিহারে তড়িঘড়ি ভোটার তালিকা সংশোধনের (SIR) কাজ চালাচ্ছে তা আদালতের রায়ের বিরোধী। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন যে এপিক কার্ডকে ভোটারের ভোটাধিকার হিসাবে নাকচ করে দিচ্ছে, তা কতটা মিথ্যা, উঠে এলো সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। কার্যত বিজেপির অঙ্গুলি হেলনে যেভাবে নাগরিকদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার খেলা শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন, তাকে সুপ্রিম কোর্টে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এডিআর (ADR)।

দেশের ভোটার তালিকায় কাদের নাম থাকবে সেই তর্জায় নির্বাচন কমিশন যে স্বৈরাচারী মনোভাব দেখাতে শুরু করেছে তার সঙ্গে একমাত্র তুলনীয় নরেন্দ্র মোদির কেন্দ্রের সরকার। ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে যে মিথ্যাচার শুরু করেছে কমিশন, তার জেরে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়তে শুরু করেছেন। অথচ এই নির্বাচন কমিশনের কোনও এক্তিয়ার নেই ভোটার তালিকা থেকে পুরোনো ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার, সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এডিআর-এর। ১৯৯৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের একটি মামলার পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে আদালতে দাবি করা হয়, নাগরিকত্বের (citizenship) যাচাই কমিশন (ECI) একমাত্র নতুন ভোটারদের ক্ষেত্রে করতে পারে। পুরোনো ভোটারদের নাগরিকত্ব যাচাইয়ের কোনও এক্তিয়ার নির্বাচন কমিশনের নেই।

সেই সঙ্গে তুলে ধরা হয় ১৯৮৫ সালের কমিশনের বিরুদ্ধে একটি মামলা। সেই মামলায় পর্যবেক্ষণে আদালত জানিয়েছিল ভোটার তালিকায় (voter list) নাম থাকা একজন নাগরিকের নাগরিকত্বের (citizenship) পরিচয়। সেই পরিচয়কে নাকচ করার অধিকার কারো নেই। যারা তা করবেন তাঁরা মিথ্যা বলবেন।

আরও পড়ুন: সংসদে ভাগ্য নির্ধারণ অধরা, সোমে সুপ্রিম কোর্ট শুনবে বিচারপতি ভার্মা অপসারণ মামলা

ইতিমধ্যেই আধার কার্ডকে নাগরিকত্বের পরিচয় হিসাবে গ্রহণ করার সুপ্রিম কোর্টের আবেদন অস্বীকার করেছে নির্বাচন কমিশন। স্বশাসিত হওয়ার সব রকম ফায়দা লুটছে নির্বাচন কমিশন (ECI)। বলা বাহুল্য তার পিছনে কেন্দ্রের সরকারেরই অঙ্গুলি হেলন রয়েছে। সেখানেই শীর্ষ আদালতে এডিআর-এর প্রশ্ন, ১৯৬০ সালে তৈরি হওয়া ভোটার তালিকায় সংযুক্তির আইন বদলে ফেলার কী প্রয়োজন রয়েছে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের।

–

–

–

–

–
–
–
–
–