দীর্ঘ অপেক্ষা, অনেক দাবির পরে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার নিয়ম মেনে বাদল অধিবেশনেই অপারেশন সিন্দুর (Operation Sindoor) নিয়ে আলোচনায় এলো। সেখানেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বলার মতো তেমন কোনও কথাই ছিল না, যদি না সোমবারই কাশ্মীরের লিডওয়াসে তিন জঙ্গি নিকেশ না হত। অমিত শাহ নিজে বলেন ২২ জুলাই জানা গিয়েছিল কোথায় রয়েছে পহেলগামের হামলাকারীরা (Pahalgam attackers)। তার পরেও সেই ২৮ জুলাই, সংসদে অপারেশন সিন্দুর নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার ঠিক আগে খবর এলো তিন জঙ্গি গুলির লড়াইতে মৃত। সেখানেই লোকসভায় (Loksabha) তৃণমূল সাংসদ সায়নী ঘোষ (Sayani Ghosh) প্রশ্ন তোলেন, তিন জঙ্গিকে নিকেশ করার সময় নিয়ে। সন্তর্পণে যে ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রীরা, সেই প্রশ্ন নিয়েও সরব হন তিনি। অন্যদিকে পহেলগাম হামলা ও তার পরবর্তী পদক্ষেপে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের যে ব্যর্থতা তার জন্য নরেন্দ্র মোদির রাজনীতিক মানসিকতাকে দায়ী করেন তৃণমূল সাংসদ সাগরিকা ঘোষ (Sagarika Ghose)। মঙ্গলবার লোকসভার পাশাপাশি রাজ্যসভাও (Rajyasabha) উত্তাল হয় অপারেশন সিন্দুর নিয়ে আলোচনায়।

লোকসভায় যাদবপুরের সাংসদ প্রশ্ন তোলেন, নরেন্দ্র মোদি জানতেন একফোঁটা সিঁদুরের দাম কত। তাই অপারেশনের নাম রাখা হল অপারেশন সিন্দুর। কাহিনী খুব সুন্দর বানানো হয়েছিল। কিন্তু সর্ষের তেলের বদলে কেরোসিন তেল ঢালা হল। লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার বক্তব্য তুলে ধরে প্রশ্ন করেন, গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানকে কেন জবাবদিহি করা হল না। তার মেয়াদ বাড়িয়ে তাঁকে পুরস্কৃত করা হল। তাকে সরিয়ে দিলে সাধারণ মানুষের কাছে বার্তা যেত দেশের গোয়েন্দা ব্যর্থতার কোনও স্থান নেই।

সেই সঙ্গে জঙ্গি দমনের মোক্ষম সময় নিয়ে কেন্দ্রের পর্দা ফাঁস করে সায়নী বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী (Minister of Home Affairs) বললেন তিন জঙ্গি মারা গিয়েছে। আমরা আলোচনা আরও দুমাস আগে শুরু করলে হয়তো আরও আগে ধরা পড়ে যেত আমাদের চাপে পড়ে। আমরা জানি কী হচ্ছে। যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বারবার বলছেন পাক অধিকৃত কাশ্মীর আমরা দখল করে ছাড়ব, কেন সুবর্ণ সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তা হাতছাড়া করলাম।

Today my speech on Pahalgam terror attack and Operation sindoor in Lok Sabha! pic.twitter.com/QSDFTvpyJC
— Saayoni Ghosh (@sayani06) July 29, 2025
আরও পড়ুন: বাংলার বকেয়া ৭ হাজার কোটি কোথায়: সংসদে সরব কাকলি

রাজ্যসভাতেও পাক হামলা ইস্যুতে সরব হন তৃণমূল সাংসদরা। লোকসভায় সায়নীর মতোই রাজ্যসভায় সাগরিকা (Sagarika Ghose) প্রশ্ন তোলেন নরেন্দ্র মোদির নীতি নিয়ে। তিনি দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী কোনও প্রশ্নের উত্তর দেন না। কোনও সাংবাদিক সম্মেলন করেন না। সংবাদ মাধ্যমের মাধ্যমে মিথ্যা প্রচার চালাবে। ২০১৮ সাল থেকে ভারতের উপর সন্ত্রাসবাদী হামলার পরিসংখ্যান দিয়ে সাগরিকার প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রীর শরীরে সিঁদুর বইত তবে পহেলগামে (Pahalgam) সন্ত্রাসীরা ঢুকল কী করে। নিরাপত্তার ত্রুটির জন্য কাউকে দায়ী করা হয়নি কেন? পাকিস্তানের সঙ্গে সব সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করা হবে বললেও কেন ক্রিকেট ম্যাচ হচ্ছে? কেন সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে কেন যাননি যেখানে সাধারণ মানুষ দুদেশের গোলাগুলিতে যাননি? সব দেশের নেতাদের জড়িয়ে ধরছেন, তাহলে সীমান্তের গ্রামের শিশুদের জড়িয়ে ধরছেন না?

Rajya Sabha MP @sagarikaghose’s speech during the Special Discussion on Operation Sindoor pic.twitter.com/FpGPDeX2Hz
— AITC in Parliament (@AITC_Parliament) July 29, 2025
–

–

–

–

–
–
–