অপেক্ষাটা ছিল শুধু তার মঞ্চে ওঠার। টুটু বোস মঞ্চে উঠতেই ইন্ডোর জুড়ে সমর্থকদের গলা ফাটানো শুরু। তাকে মঞ্চে স্বাগত জানালেন ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, দমকল মন্ত্রী সুজিত বোস, মোহনবাগান সহ সভাপতি কুণাল ঘোষ, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মত তারকারা। মঞ্চে তখন চাঁদের হাট। আর টা দেখেই টুটু বোস আবেগতাড়িত। একদিন যে পুরস্কার তিনি শুরু করেছিলেন, এদিন সেই পুরস্কার উঠলো তাঁর হাতে।

মঞ্চে উঠেই প্রিয় সমর্থকদের উদ্দেশে বার্তা তাদের প্রিয় টুটু বোসের। এমন একটা মুহূর্তে নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না তিনিও। মোহন রত্ন গলায় উঠতেই টুটু বোসের চোখে জল। তাঁর গলা থেকে ঝরে পড়ল একরাশ আবেগ। মঞ্চ থেকে টুটু বোস বলেন, “আমার সবুজ মেরুন সোনারা। যখন শুনলাম আমাকে রত্ন দিচ্ছে। সাংবাদিকরা আমায় প্রশ্ন করেছিলেন। আমি বলেছিলাম উত্তর দেব বাগান সমর্থকদের। আজ সেই কথাই বলছি,ছোট বেলায় শুনতাম কেউ ফার্স্ট হয়ে ঘ্যাম দেখত। তখন সবাই তাঁকে বলতো হাতে চাঁদ পেয়েছিস। আজ আমার মনে হচ্ছে আমি চাঁদ পেয়েছি, সত্যিই পেয়েছি। আজ আমি চাঁদ পেয়েছি”।

রাজ্যের ক্রীড়া মন্ত্রীর সঙ্গে মোহনবাগান সম্পর্ক বহুদিনের। টুটু বোসের সঙ্গেও দীর্ঘ সম্পর্ক। সেই মঞ্চ থেকে ক্রীড়া মন্ত্রিও খানিকটা আবেগতাড়িত। তিনি জানিয়েছেন,” আজ মোহনবাগান দিবস। বাংলার মানুষের কাছে গৌরবময় দিন। ইংরেজদের যে হারানো জয় এটা প্রথম শিখিয়েছিল সেই মোহনবাগান। মোহনবাগানের প্রাণপুরুষ টুটু বোস এখানে রয়েছেন। মোহনবাগান ক্লাব এর ভিত জিনো তৈরি করেছেন তিনি টুটু বোস। তিনি যদি হল না ধরতেন, তাহলে আজ মোহনবাগান হতো না। তিনি নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান। আজ তিনি মোহনবাগান রত্ন”।

এদিন মোহনবাগান রত্ন হওয়ার পরই বর্তমান কমিটির কাছে টুটু বোসের বিশেষ আবদার। তিনি না থাকলেও মোহনবাগান ক্যান্টিন যেন তাঁর নামে করা হয়। মোহনবাগান আর টুটু বোস যে একে অপরের পরিপূরক তা এদিন আবারও সকলে বুঝে গেলেন।

আরও পড়ুন – পাঁশকুড়ায় স্কুলের হস্টেলে আদিবাসী ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, র্যাগিংয়ের অভিযোগ পরিবারের

_

_

_

_

_
_
_
_
_
_