আগামী দু’দিন উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। সেই আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার জরুরি বৈঠক করলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। বৈঠকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের সচিব দুষ্মন্ত নারিয়ালা সহ ছয় জেলার জেলাশাসকদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিশেষত দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুর—এই ছয় জেলার নিচু এলাকাগুলোতে প্লাবনের সম্ভাবনা থাকায় আগাম প্রস্তুতির উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুক্রবার ও শনিবার দার্জিলিং পাহাড়ে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হলেও, ডুয়ার্স এবং সংলগ্ন অঞ্চলে অনেক জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তিস্তা নদীর জলস্তর ইতিমধ্যেই বেড়ে যাওয়ায় বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছেছে। গত বছরের বিধ্বংসী প্লাবনের স্মৃতি এখনও ভোলেনি মানুষ। এবছরও লাগাতার বৃষ্টিতে নদীতীরবর্তী বসতিগুলোতে বিপদের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জলপাইগুড়ি ও মালবাজারের কিছু অঞ্চলে নদীবাঁধ ভাঙার সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় কয়েকটি এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মেখলিগঞ্জ, ক্রান্তি, সালুগোড়া প্রভৃতি অঞ্চল থেকে বহু মানুষকে ইতিমধ্যেই নিরাপদ স্থানে পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসনকে বলা হয়েছে আরও নিচু এলাকা চিহ্নিত করে আগাম ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। প্রতিটি ব্লকে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ জল, ওষুধ ও ত্রাণ সামগ্রী মজুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, উদ্ধারকারী দল ও নৌকা। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারে ইতিমধ্যেই ‘কমলা সতর্কতা’ জারি হয়েছে। একই পূর্বাভাস রবিবার, সোমবার এবং মঙ্গলবারের জন্যও রয়েছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে এবং মানুষকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন – প্রত্যাশার থেকেও বেশি! পুজোর অনুদান বাড়িয়ে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা করলেন মুখ্যমন্ত্রী, উচ্ছ্বসিত উদ্যোক্তারা
_
_
_
_
_
_
_
_
_
_