পুজোর বাদ্যি বেজে গিয়েছে। জোরকদমে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে প্রতিটি পুজো প্যান্ডেলে। সকলেই চমক দিতে প্রস্তুত। সেখানেই এবার খানিকটা আলাদা টালা প্রত্যয় (Tala Prattoy)। বরাবরই ভিন্ন ধর্মী থিম করে সকলকে তাক লাগিয়ে দেয়। এবারও তার অন্যথা নয়। আর এবার সেই টালা প্রত্যয়ের থিমেই রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ছোঁয়া। ১০০ বছরে পা দেওয়া টালা প্রত্যয় তাদের বীজ অঙ্গনেই ফুটিয়ে তুলছে খাদ্য অর্থাৎ যে বীজ থেকেই সমস্ত কিছুর শুরু তারই বিবর্তনের ছবি।
বরাবরই উত্তর কলকাতার পুজো গুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হয়ে এসেছে টালা প্রত্যয় (Tala Prattoy)। শেষ কয়েকবছর ধরেই তারা সকলকে চমকে দিয়েছে নিজেদের পুজোর থিম থেকে ভাবনা দিয়ে। তবে এবার যেন সেই সমস্ত কিছুর থেকেই আলাদা টালা প্রত্যয়। তাদের থিমের নামকরণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বীজ অর্থাৎ খাবার। যা ছাড়া আমাদের কারোরই দৈনন্দিন জীবনে চলা সম্ভব নয়। সেই বীজের বিবর্তনের কাহিনীই দেখা যাবে এবার টালা প্রত্যয়ে। মুখ্যমন্ত্রীর এমন থিমকে নিখুঁতভাবে করারই চেষ্টায় ব্যস্ত তারা।
টালা প্রত্যয়ের মেন্টর ধ্রুবজ্যোতি বসুর (Dhrubojyoti Bose) কথায়, “আমাদের পুজোর থিম এবার বীজ অঙ্গন। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী এই থিমের নামকরণ করেছেন। আমরা ১০০ বছরে পা দিয়েছি। দেখুন ১০০ বছর একটা কাল, একটা সময়। ১০০ বছর একটা ইতিহাস বহন করে। সেই সময়ে দাঁড়িয়ে খাবার যেটা বিরাট মাত্রায় গ্লোবাল রাজনীতির একটা অঙ্গ। সেই নিয়েই বীজের বিবর্তন, খাদ্যের বিবর্তন। তা নিয়েই এবার টালা প্রত্যয়ের থিম বীজ অঙ্গন”।
তিনি আরও বলেন, “২০১১ সালে একটা রাজনৈতিক পরিবর্তন হয়েছে। এরপর এই দুর্গা পুজোকে কেন্দ্র করে সরকারের যে প্রাধান্য আমরা পেয়েছি এই ইন্ডাস্ট্রিটাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। তাই জন্যই কিন্তু যেটা এক সময় ৩০ হাজার কোটি টাকা ছিল, সেই ইন্ডাস্ট্রিটাই এখন ৮০ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়ে। আমাদের এখানেই কা করছেন ১৯৮ জন। কিন্তু সময় এগনোর সঙ্গে সেই সংখ্যাটা আরও বাড়বে। এই উৎসব এখন মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে মিলন উৎসব হয়ে উঠেছে। এই মিলন ক্ষেত্রে যেমন উৎসব সবার, তেমনই বহু মানুষের রুটির সংস্থান হচ্ছে এখানে”।
কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) প্রতিটি পুজোর ক্লাবের জন্য আর্থিক অঙ্ক অনুদানের ঘোষণা করেছে। এই ঘোষণাটা শুধুমাত্র আর্থিকই নয়, সকলের আত্মবিশ্বাসও অনেকটা বাড়াচ্ছে বলে মনে করছেন ধ্রুবজ্যেতি বসু।
তিনি জানান, “এটা আমাদের সকলকে অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। আমার কাছে যেটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটা হল এই অঙ্কের থেকে উদ্যোগটা। এই এক লক্ষ দশ হাজার টাকাটা কিন্তু ছোট, বড় মাঝারি সমস্ত পুজো কমিটির কাছেই বিরাট পাওনা। আর সবচেয়ে বড় কথা এই টাকাটা কিন্তু আমরা ওয়েলফেয়ার, চ্যরিটিতেই খরচ করি”।
টালা প্রত্যয় মানেই তো দর্শনার্থীদের ভিড়। পুজোর চারদিনই মানুষের ঢল নামে। এবার সেদিকেই আরও সুব্যবস্থা করার দিকে বাড়তি নজর টালা প্রত্যয়ের পুজো কমিটির।
–
–
–
–
–
–
–
–