আবারও ভারতকে নিশানা করলেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ বিস্ফোরক মন্তব্য করে তিনি দাবি করলেন—ভারত শুধু কম দামে রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনে থেমে থাকে না, সেই তেল ফের বেশি দামে বিক্রি করে বিশাল মুনাফাও করছে।
ট্রাম্পের অভিযোগ, ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে ভারতের ভূমিকা নৈতিকতার প্রশ্ন তোলে। তাঁর কটাক্ষ, কত মানুষ ইউক্রেনে মরছে, তা নিয়ে ভারতের কোনও মাথাব্যথা নেই। বরং যুদ্ধ পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে তারা ব্যবসা করছে। এই কারণ দেখিয়ে ট্রাম্প ঘোষণা করলেন, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি ধাপে ধাপে ভারতের উপর শুল্ক বসাব।এই মন্তব্য ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যদিও ভারত সরকারের তরফে এই বিষয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। ট্রাম্প আরও বলেন, প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হয়ে আমি আমেরিকার স্বার্থে বহু দেশের পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক বসানোর পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু কোভিড অতিমারির জন্য সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। এবার যদি আমি প্রেসিডেন্ট হই, তাহলে আগের ভুল পুনরাবৃত্তি করব না। ভারতের মতো দেশগুলোর উপরও কঠোর শুল্কনীতি কার্যকর করব।
চিন ছাড়া অন্য কোনও দেশে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করতে না পারার হতাশাও এদিন প্রকাশ করেন তিনি। পাশাপাশি বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনকেও তীব্র কটাক্ষ করেন ট্রাম্প। তাঁর দাবি, ডেমোক্র্যাটরা এতদিন শুধু নরম নীতি নিয়ে চলেছে। তাই আজ আমেরিকার অর্থনীতি সমস্যায়। বহু আগেই এই পারস্পরিক শুল্কনীতি চালু হওয়া উচিত ছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ভারত-সহ একাধিক দেশকে চাপে রাখার কৌশল হিসেবে এই মন্তব্য করলেন ট্রাম্প। তবে এর প্রভাব দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে কতটা পড়বে, তা সময়ই বলবে। এর আগে ট্রাম্প প্রশাসনের সময়েও ভারতীয় ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের উপর অতিরিক্ত শুল্ক বসানো হয়েছিল। এরপর বাইডেন প্রশাসন তা কিছুটা শিথিল করলেও ট্রাম্প ফের ক্ষমতায় এলে সেই নীতি আরও কঠোর হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- আমি সম্মানিত: লোকসভার দলনেতা হয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ অভিষেকের
_
_
_
_
_
_
_
_
_
_
_