১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট এই দিনটি ছিল অন্যান্য দিনের মত এক সাধারণ সোমবার। খুদেরা স্কুলে যাচ্ছিল, মানুষজন কাজে, কেউবা বাজারে। কিন্তু সময় থেমে যায় সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে। আকাশের নীলচে চাদরে হঠাৎ ফেটে পড়ে এক ভয়াবহ বিস্ফোরণ। নাম—’লিটল বয়’ (Little Boy), ইতিহাসের প্রথম পারমাণবিক বোমা! ২০২৫ সালের ৬ আগস্ট, আজ সেই বিভীষিকার ৮০তম বার্ষিকী। এই দিনে বিশ্বের নানা প্রান্তে পালিত হয় ‘হিরোশিমা দিবস’ (Hiroshima Day), শান্তির বার্তা পৌঁছে দেওয়ার এক প্রতীকী প্রয়াস।
‘লিটল বয়’ বোমাটি পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই হিরোশিমায় (Hiroshima) তাৎক্ষণিকভাবে প্রাণ হারান প্রায় ৭০,০০০–৮০,০০০ মানুষ। পরবর্তী কয়েক মাস ও বছরের মধ্যে মৃত্যু হয় আরও হাজার হাজার মানুষের। এখনও পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী, মোট প্রাণহানি ১.৪ লক্ষেরও বেশি। এই বোমার শক্তি ছিল প্রায় ১৫ কিলোটন। অনেকেই পারমাণবিক বিকিরণের প্রভাবে বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভুগেছেন। যারা বেঁচে গিয়েছিলেন, তাঁদের ‘হিবাকুশা’ বলা হয়।
ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী হিরোশিমা ও নাগাসাকির উপর বোমা ফেলার জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছিল ‘অপারেশন অর্ডার নং ৩৫’ নামে সামরিক নির্দেশনায়। ফলে এর সামরিক কোড নাম ছিল ‘Operation Order No.35’। এই আদেশে ৫ আগস্ট, ১৯৪৫-এ ‘এনোলা গে’কে বোমা ফেলার অনুমতি দেওয়া হয়।
এই নির্মম দিনটিতে শান্তি স্থাপনের জন্য হিরোশিমার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ‘হিরোশিমা পিস মেমোরিয়াল পার্ক’ তৈরি করা হয়েছিল। এই পার্ক আজও সেই ইতিহাস বহন করে চলেছে। প্রতি বছর ৬ আগস্ট এখানে অনুষ্ঠিত হয় নীরবতা পালন, কাগজের অরিগামি ক্রেন উৎসর্গ, মোমবাতি মিছিল ও স্মৃতিচারণ সভা। এই বছর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ১২০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিরা। আন্তর্জাতিক বক্তৃতায় উঠে আসে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ ও বিশ্বশান্তির প্রয়োজনীয়তা। আরও পড়ুনঃ বিহারের বাসিন্দা ডোনাল্ড ট্রাম্প! SIR সার্কাস নিয়ে কটাক্ষ তৃণমূলের
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–